পশ্চিমা দুশ্চিন্তায় ব্রিকসকে পাশে চান পুতিন

পশ্চিমা দুশ্চিন্তায় ব্রিকসকে পাশে চান পুতিন ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত জোট ব্রিকস। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) চীনে জোটটির ১৩তম বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে রাশিয়ার পাশে ব্রিকসকে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

পুতিন বলেন, রাশিয়ার ওপর রেকর্ড নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কারণে পশ্চিমারা বিশ্ব সংকট তৈরি করেছে। এ পরিস্থিতিতে ব্রিকসের দেশগুলো নতুন বাণিজ্য পথ তৈরি করতে পারে। ব্রিকসের সম্মেলনে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি, মানবাধিকার, সন্ত্রাসবাদ নিয়েও আলোচনা ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ব্রিকস দেশগুলো সরাসরি রাশিয়ার সমালোচনা করেনি। ইউরোপ রাশিয়ার তেল নেয়া অনেকটাই বন্ধ করে দিলেও রাশিয়া ব্রিকস দেশগুলোতে তেল বিক্রি করছে। বিশ্ববাজারে এখন পর্যন্ত রুবলের দাম পড়েনি। আরও পড়ুন: ইউক্রেন থেকে পিছু হটছেন বাইডেন ব্রিকস বাণিজ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে চীন। বছরে ২৭ দশমিক পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করে ব্রিকস রাষ্ট্রগুলো। এর ৭০ শতাংশই করে চীন। চীন প্রথম থেকেই রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে। ব্রিকস সম্মেলনে রাশিয়াকে কার্যত সমর্থন জানিয়েছে চীন। চীনের রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিং বলেছেন, যে কায়দায় পশ্চিম নিষেধাজ্ঞা জারি করছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। নিজেদের স্বার্থে নিষেধাজ্ঞাকে তারা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা কঠিন কাজ বলে মনে করেন চীনা প্রধান। এদিকে ভারত এখন পর্যন্ত কূটনৈতিকভাবে রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে একটি ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করছে। ভারত ব্রিকসের বিপরীত চতুর্পাক্ষিক কৌশলগত নিরাপত্তা জোট কোয়াডে (যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত) যুক্ত রয়েছে। কিন্তু ব্রিকসে যেভাবে রাশিয়া ও চীন সরাসরি বিকল্প পথের ডাক দিয়েছে, তাতে ভারতকে এবার স্পষ্ট অবস্থান নিতে হতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: ডয়চে ভেলে, রয়টার্স