Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ফুটবলে ৪৫০ কোটি টাকার প্রকল্প! বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের




ফুটবলে ৪৫০ কোটি টাকার প্রকল্প! -

এশিয়া কাপে জাতীয় দলের ব্যর্থতায় যেন টনক নড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। সভা-সেমিনার করে দেশের ফুটবল বাঁচানোর উপায় খোঁজার চেষ্টা করছেন তাঁরা। তেমনি একটি সভায় দেশব্যাপী ফুটবল 'জাগরণ'-এর জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্প হাতে নেওয়ার প্রস্তাব এসেছে ফুটবল সংশ্নিষ্টদের কাছ থেকে। যার জন্য মোট খরচ পড়বে ৪৫০ কোটি টাকা। ফুটবলে পুনর্জাগরণসহ শক্তিশালী জাতীয় দল গঠনের লক্ষ্যে এই প্রজেক্ট হাতে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় দেখিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বৃহস্পতিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে এ বিষয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় বাফুফে ও বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তারা ফুটবল উন্নয়নে বিভিন্ন প্রস্তাবনা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরেন। ফুটবল উন্নয়ন ও গতিশীলতার জন্য পাঁচ বছরের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে ৪৫০ কোটি টাকা চেয়েছে বাফুফে। সেটা অনুমোদন হলে বছরে ৯০ কোটি টাকার মতো পাবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। প্রকল্প চূড়ান্ত করার প্রথম সভা হয়েছে গতকাল। আরও দুটি সভার পরই চূড়ান্ত হবে প্রকল্প। এদিন পাঁচটি বিষয়ের ওপর পাঁচ গ্রুপে অংশ নেন ফুটবল সংশ্নিষ্টরা। গ্রুপ স্টাডির পর সেটি আবার পয়েন্ট আকারে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিনের সামনে তুলে ধরেন। কর্মশালায় তুলে ধরা প্রস্তাবনাগুলো পছন্দ হয়েছে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর। আর এই অর্থবছরে যেন টাকাটা পাওয়া যায় সেভাবেই এগোচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রাসেল, 'সেমিনার থেকে যে বক্তব্যগুলো উঠে এসেছে এবং যে পরামর্শগুলো আমরা পেয়েছি, সব একসঙ্গে করে আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছি। এটিকে চূড়ান্ত করতে হলে আমাদের আরও দুটি সভা করব। সবকিছু যাচাই করে তারপর আমার নেতৃত্বে যে সভাটি আছে, সেখানে ফাইনাল করব। আজকের সভায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা উঠেছে। ফুটবল জাগরণের ক্ষেত্রে আমরা যদি এগুলো ব্যবহার করতে পারি, এটি যদি কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমি মনে করি, অবশ্যই ফুটবলে পুনর্জাগরণ সম্ভব।' ফুটবলের উন্নয়ন ও জাগরণের জন্য এরকম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন জরুরি। পেশাদারিত্বের মোড়কে এশিয়ার দেশগুলো অনেক এগিয়েছে বলে জানান সালাউদ্দিন, 'ফুটবল উন্নয়নে প্রজেক্টের কাজটা আমরা শুরু করতে পারি। এটা পেশাদার ব্যানারে শুরু করছি। তারপর আমি থাকব, কে থাকবে না থাকবে সেটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেটা শুরু হয়েছে, সেটা চলতেই থাকবে। আমি কাতারের বিপক্ষে গোল করে জিতেছি, আমি অনেক দলের সঙ্গে গোল করে জিতেছি। কিন্তু আজ যেটা হয়েছে ওই টিমগুলোর মধ্যে থাকেন, কাতার আজ বিশ্বকাপে খেলছে। তারা বিশ্বকাপের আয়োজক। সর্বশেষ ১৫-২০ বছরে এশিয়ার দেশগুলো পেশাদার হয়েছে। আমি, ফুটবল প্লেয়ার, ফুটবল ফেডারেশন; স্পন্সর সবারই লাগবে। ফুটবল উন্নয়ন পৃথিবীর অন্যতম কঠিন যুদ্ধ।' তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে একের পর এক আকাশকুসুম স্বপ্ন ও পরিকল্পনার কথা শোনাচ্ছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ২০০৮ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নও দেখিয়ে ছিলেন তিনি। অথচ কাজের কাজ কিছুই করতে পারেননি। তৃণমূলে ফুটবল নেই, বয়সভিত্তিক পর্যায়ের জন্য নেই সঠিক পরিকল্পনা; রীতিমতো খাদের কিনারে চলে গেছে দেশের ফুটবল। অতীতের মতো এই প্রকল্পও লোক দেখানো প্রয়াস হয়ে যাবে না তো!






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply