Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » বাড়ছে ডায়রিয়া,বান্দরবানে থানচিতে ১ সপ্তাহে প্রাণ গেল ৯ জনের




বাড়ছে ডায়রিয়া, ১ সপ্তাহে প্রাণ গেল ৯ জনের

বান্দরবানে থানচি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি দুর্গম রেমাক্রি ইউনিয়নে গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (১৫ জুন) সকালে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রুসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগীদের পরিদর্শন করেন এবং তাদের স্বাস্থ্যর খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সেবা প্রদানের জন্য দায়িত্বরত চিকিৎসকদের নিদের্শনা দেন। গত ৬ জুন থেকে থানচি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭০কিলোমিটার দূরে দুর্গম রেমাক্রি ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় নারিচ্যা পাড়ায়। এছাড়া ইয়ংনং পাড়া, উছোমং পাড়া, চিংসং পাড়া ও মেনতাং পাড়ায়ও ডায়রিয়ার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। আরও পড়ুন: নির্যাতনের পর গৃহবধূর চুল কেটে দেয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা রেমাক্রি ইউপি চেয়ারম্যান মুইসুইথুই মারমা জানান, নদী ও ছড়ার দূষিত পানি পান করায় বিভিন্ন পাড়ায় ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, ডায়রিয়া আক্রান্ত এলাকাগুলো অত্যন্ত দুর্গম, মিয়ানমারের সীমান্তের কাছাকাছি। ইঞ্জিনচালিত নৌকা ছাড়া সেখানে যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থা নেই। মোবাইল নেটওর্য়াক না থাকায় কতজন আক্রান্ত হয়েছে তা জানাও কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে কয়েকদিন ধরে দুর্গম এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির সংবাদে স্বাস্থ্য বিভাগের কয়েকটি চিকিৎসক দল সেখানে গিয়ে স্বাস্থ্যসেবাসহ আক্রান্তদের ওরস্যালাইন, বিশুদ্ধ পানিসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ দিচ্ছেন। এছাড়া আক্রান্ত অনেকেই থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন। সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী জানান, দুর্গমতার কারণে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট ও স্বাস্থ্যসস্মত স্যানিটেশনের অপ্রতুলতা কারণে পাহাড়ে এ সময়টা ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত এলাকাগুলোতে সেবা প্রদানের জন্য কাজ করছে বলেও জানান তিনি। পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু জানান, ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে থানচির রেমাক্রীসহ দুর্গম আন্ধারমানিক এলাকায় গত এক সপ্তাহে এ পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অর্ধ শতাধিক নারী-পুরুষ আক্রান্ত হয়েছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে নজর দিয়েছি এবং থানচির বিভিন্ন ডায়রিয়া প্রকোপ এলাকার প্রাইমারি বিদ্যালয়ে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে আক্রান্তদের সেবা ও সব ধরনের ওষুধ প্রদানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply