Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » দীর্ঘদিন পর চাঙা চামড়ার মৌসুমি বাজার, খুশি ব্যবসায়ীরা




দীর্ঘদিন পর চাঙা চামড়ার মৌসুমি বাজার, খুশি ব্যবসায়ীরা

ভি করোনাভাইরাসে গত দুই বছর চামড়ার মৌসুমি বাজার ছিল ঠাণ্ডা। এবার চাঙা হতে শুরু করেছে। আজ রোববার দুপুরের পর থেকে এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বলছে, প্রতি চামড়ায় গড়ে অন্তত ৩০০ থেকে সাড়ে তিনশ টাকা লাভ হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর চামড়ার মৌসুমি বাজার চাঙা হওয়ায় খুশি ঈদুল আজহা ঘিরে সৃষ্ট মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। বুলু আহম্মেদ চাকরি করেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে তিনি নেমেছেন মৌসুমি চামড়ার ব্যবসায়। মোট ২৭টি গরুর চামড়া কিনে সেগুলো বিক্রির জন্য গিয়েছেন রাজধানীর ধানমণ্ডির স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায়। বুলু এসব চামড়ার কোনোটা কিনেছেন ৩০০ টাকায়, কোনোটি ৪০০-তে। ৫০০ টাকারও চামড়া আছে কিছু। সেগুলো তিনি গড়ে ৭০০ টাকা করে বিক্রি করেছেন। কথা প্রসঙ্গে বুলু বলছিলেন, ‘এই একদিনের জন্য আমি গ্রামে যাইনি। পরিবারের অন্যান্যদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। আরও কিছু চামড়া কিনেছি, সেগুলোও আসবে এখানে। একটি চামড়া আমার বস দিয়েছেন। কোনো টাকা নেননি।’ বুলু বলছিলেন, ‘আজকে বেশ কিছু টাকা লাভ হবে। এবারই প্রথম চাড়মা কিনে বিক্রি করছি। আশা করছি, আগামী কুরবানির ঈদেও এভাবে চামড়া কিনে বিক্রি করব।’ বুলুর মতো আরও অনেক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী আছেন সেখানে। এমনই একজন আফসার আলী। তিনিও একটি ভ্যানে করে চামড়া নিয়ে এসেছেন। আফসার আলী বলেন, ‘যাঁরা কুরবানি দিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে গিয়ে গিয়ে কিনেছি। কোনোটা কম, কোনোটা একটু বেশি দামে কিনেছি। গড়ে ৪০০ টাকা করে মোট ২৩টি চামড়া কিনেছি। এ চামড়াগুলো গড়ে ৬৮০ টাকা করে দাম উঠেছে। গত কোরবানির ঈদে বেশি লাভ করতে পারেনি। তবে, এবার ভালোই লাভ হবে মনে হচ্ছে।’ ধানমণ্ডির এই স্থানটিতে ভ্যানে করে আরও অনেককেই চামড়া আনতে দেখা গেছে। সেখানে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যবসা করেন এমন অনেকে আছেন। এমন একজন শহিদুল হক ব্যাপারী বলেন, ‘গতবারের চেয়ে চামড়ার দাম ভালো। আশা করছি ভালোই লাভ হবে।’ মৌসুমি ব্যবসায়ীদের মধ্যে আছেন মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও। কয়েকজন ফৌজিয়া আল ইসলাম মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক মো. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, ‘এখানে যাঁদের দেখছেন, সবাই একই মাদ্রাসার। আমরা যাদের গরু জবাই করে দিয়েছি, তারা এ চামড়াগুলো মাদ্রাসায় দান করেছেন। এ চামড়া বিক্রি করে মাদ্রাসা ও এমিতখানার কাজে লাগানো হবে। মোট ৩০টি চামড়া এনেছি আমরা। যা গড়ে ৬৯০ টাকা করে বিক্রি করে দিয়েছি।’






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply