Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ




শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে

মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে গণিত, পদার্থবিজ্ঞানসহ গুরুত্বপূর্ণ ছয় বিষয়ে শিক্ষক নেই। কলেজটিতে ৫৮ জন শিক্ষকের প্রয়োজন। আছে ২৬টি শিক্ষকের পদ। এর মধ্যে শূন্য ১০টি। ফলে, নিয়মিত পাঠদান ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় মারাত্মক শিক্ষা সংকটে পড়েছে কলেজটি। সরেজমিন দেখা যায়, শহরের প্রাণকেন্দ্রে অল্প জায়গায় গড়ে উঠেছে কলেজটি। পর্যাপ্ত স্থানের অভাবে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলাসহ খোলামেলা বিচরণের কোনো সুযোগ নেই। কলেজের প্রশাসনিক ও শ্রেণিভবনের পাশেই রয়েছে ৩০ আসনের ছাত্রীনিবাস। কলেজ কর্তৃপক্ষ বললেন, জায়গার পরিধি না বাড়িয়ে আরও নতুন নতুন বিভাগ খোলা ঠিক হবে না। কেননা, যে স্থান রয়েছে তাতে নতুন ভবন নির্মাণ দূরের কথা, ভবন সম্প্রসারণেরও কোনো জায়গা নেই। প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে কলেজটিতে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও বিনোদন সুবিধা দিতে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা, ফ্রি ওয়াইফাই জোন ও খাবার ক্যান্টিন। কলেজের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরে দেখা গেল অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক নেই। পাঠদান না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের মধ্যেই গল্পগুজব হৈ-হুল্লোড় করে সময় কাটাচ্ছে। অনেক শ্রেণিকক্ষ ফাঁকা পাওয়া গেল। আবার কিছ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ সহকারে শিক্ষকের পাঠদান নিতে দেখা গেছে। কলেজ সূত্র জানায়, এইচএসসি ও সœাতক (ডিগ্রি) পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ১৯৮৫ সালে কলেজটি যাত্রা শুরু করে। এখন দুটি বিষয়ে সœাতক (সম্মান) কোর্স চালু আছে। কিন্তু শিক্ষক না থাকায় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সর্বশেষ এ বছরের ১২ জুলাই কলেজের শিক্ষার মান বাড়াতে জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষক পদায়নের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো শিক্ষক পদায়ন করা হয়নি। তাই, কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থায় কিছু অতিথি শিক্ষক দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেছেন। কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের আফসানা রহমান জানান, এখন অতিথি শিক্ষকদের অপেক্ষায় থাকতে হয়। তারা নিয়মিত আসেন না। খেয়ালখুশি সময়ে আসেন। কলেজের নিজস্ব ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা যে কোনো সমস্যা নিয়ে শিক্ষকদের শরণাপন্ন হতে পারে না। দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের সুলেহা আফসারী জানায়, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিভাগে কোনো শিক্ষক না থাকায় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। কেননা, অনেক সময় অতিথি শিক্ষকরা জটিল কোনো বিষয়ের সমাধানও দিতে পারেন না। এ সময় সমস্বরে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কলেজে সপ্তাহে দুই একদিন জোড়াতালি মার্কা ক্লাস হয়। ফলে সিলেবাস শেষ না করে কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই কলেজ পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। একজন অতিথি শিক্ষক নামপ্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মূল চাকরি ঠিক রেখে তাদের এই কলেজে আসতে হয়। তাই নিয়মিত ও সঠিক সময়ে আসা সম্ভব হয় না। শিক্ষক সংকট ও পাঠদান ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কথা স্বীকার করে কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম সোলাইমান আলী বলেন, নিয়মিত পাঠদান নিয়ে খুবই সমস্যায় আছি। গণিত, ইংরেজি, অর্থনীতি, পদার্থবিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, ভূগোল, ইতিহাস, দর্শন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নেই। আবার গণিত পদার্থবিজ্ঞানের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিভাগে কোনো শিক্ষকই নেই। ভেবেছিলাম ৩৪তম বিসিএসের মাধ্যমে শূন্যপদে শিক্ষক পাওয়া যাবে। কিন্তু পাওয়া যায়নি। জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষক পদায়নের জন্য মন্ত্রণালয় ও মহাপরিচালক (ডিজি) বরাবর আবেদন পাঠানো হয়েছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply