ঈদে অদ্ভুত এক রীতি পালনের কথা জানালেন অভিনেতা ফারুক
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারুক আহমেদ। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের নাটকে অভিনয় করে যার জনপ্রিয়তা শীর্ষে পৌঁছায়।
শৈশবের ঈদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অদ্ভুত এক রীতির কথা জানালেন এ অভিনেতা।
এক গণমাধ্যমকে ভিডিও সাক্ষাৎকারে ফারুক জানালেন, গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে দাদাবাড়ি ও নানাবাড়ি মিলিয়ে ঈদ উদ্যাপন করতেন। নানারা ছিলেন ধনী আর দাদাবাড়ির অবস্থা তেমন একটা ভালো ছিল না। তাই কুরবানি ঈদে নানাবাড়িতে ঈদ আয়োজনটা বেশিই ছিল।
আর্থিক দৈন্যতায় দাদাবাড়িতে কুরবানি দেওয়া হতো না। অর্থনৈতিক সংকট থাকলেও উচ্চবংশের লোক ছিলেন দাদারা, মোল্লা বংশ।
সে সময়ে ঈদ উদযাপনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘দাদাবাড়ি ও নানাবাড়ি—দুই বাড়িতেই ঈদ করতাম। আমার দাদার পরিবার ছিলেন অর্থনৈতিকভাবে একটু দুর্বল। অন্যদিকে নানাবাড়ির পরিবার ছিল ধনী। নানাবাড়িতে ধুমধামে কোরবানি হতো কিন্তু সেই সময়ে দাদাবাড়িতে কখনোই তেমন একটা কোরবানি করতে দেখিনি।’
সে সময়ের কুরবানি ঈদে অদ্ভুত এক রীতির কথা জানালেন ফারুক। এ অভিনেতা বলেন, ‘পরে আব্বা কোরবানি দিয়েছেন। তখন অদ্ভুদ এক রীতি ছিল। আমরা ছিলাম মোল্লা বংশের। যে কারণে তখন গ্রামের নিয়ম ছিল যে কোরবানি দিবে সে গরুর মাথা পাবে। আমরা তখন বাড়িতে মাথা এনে খেতাম।’
No comments: