Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » পদত্যাগ করতে প্রস্তুত শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে




পদত্যাগ করতে প্রস্তুত বিক্রমাসিংহে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, সবাই চাইলে তিনি পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক। এর মাধ্যমে একটি সর্বদলীয় সরকার গঠনের পথ করে দিতে চান তিনি। শনিবার (৯ জুলাই) বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে নিজের মনোভাব প্রকাশ করেছেন।

বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। প্রেসিডেন্ট ভবন দখলে নিয়েছে ক্রুদ্ধ জনতা। নজিরবিহীন এ বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। এদিকে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে বলেছেন, সর্বদলীয় এ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা মেনে নেবেন তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে জানান, জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে বিরোধী দলগুলো সুপারিশ করলে তিনি পদত্যাগ করতে প্রস্তুত আছেন। শনিবার রাজধানী কলম্বোয় রীতিমতো গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়ে এবং অবস্থান নেয়। অনেককেই প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সুইমিংপুলে গোসল করতেও দেখা যায়। জনগণের রোষের মুখে বড় ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের মতো করেই বাসভবন ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। সটকে পড়েন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেও। এরপরও বিক্ষোভ-প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। তাদের একটাই দাবি, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়াকে পদত্যাগ করতে হবে। আরও পড়ুন : সর্বদলীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনে নেব: গোতাবায়া দেশের এ চরম পরিস্থিতি বিবেচনায় এদিন জরুরি সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান করেন প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে। সেই সঙ্গে স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনাকে জরুরি অধিবেশন আয়োজনের অনুরোধ করেন তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আদাদেরানার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় পার্লামেন্টে জরুরি সর্বদলীয় বৈঠক শুরু হয়েছে। তবে এতে প্রধান বিরোধী দল সাসাজি জানা বালাওয়েগায়া পার্টি (এসজেবি) বৈঠকে অংশ নেয়নি। প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহের ডাকা বৈঠকে আগেই বয়কটের ঘোষণা দেন এসজেবির নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা। এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের দল শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনা পার্টির (এসএলপিপি) বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার প্রতি পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। আদাদেরানার পৃথক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে দলের অন্তত ১৬ জন সংসদ সদস্য এ আহ্বান জানান। সংসদ সদস্যদের স্বাক্ষরিক ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে অনতিবিলম্বে পার্লামেন্ট অধিবেশন ডাকতে হবে। অধিবেশনে সব দলের অংশগ্রহণে সর্বদলীয় সরকার গঠন করতে হবে। শ্রীলঙ্কা একটি মধ্য আয়ের দেশ ছিল। জনগণের মাথাপিছু জিডিপি ফিলিপিন্সের সঙ্গে তুলনীয় ছিল তখন। লঙ্কানদের জীবনযাপনের মান প্রতিবেশী ভারতের জন্য ঈর্ষণীয় বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও করোনা মহামারিতে পর্যটনশিল্পে ধস নামায় দেশটির ডলার ফুরিয়ে গেছে। যে কারণে তারা আমদানির প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে গ্যাসও ফুরিয়ে এসেছে। আবার পাওয়া গেলেও তার দাম এতই বেশি যে মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। কেউ কেউ কেরোসিনের চুলায় রান্নার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পেট্রল ও ডিজেল আমদানির মতো পর্যাপ্ত ডলার নেই সরকারের কাছে। মূলত রাজাপাকসে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলতি বছরের শুরু থেকেই ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশটিতে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে। মে মাসের শুরুর দিকে বিক্ষোভ হঠাৎ চরম রুপ নেয়। পুলিশ ও জনতার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৯ জন নিহত হয়। আহত হয় আরও অন্তত ৩০০ জন। আরও পড়ুন: শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টের সুইমিংপুলে নেমে জনতার উল্লাস (ভিডিও) এর ফলে বিক্ষোভ আরও উত্তাল হয়ে ওঠে। রাজধানী কলম্বোসহ বড় বড় শহরগুলোতে এমপি-মন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারি আমলা ও কর্মচারীদের ঘরবাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এক পর্যায়ে পুরো মন্ত্রিসভা নিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার অধীনে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন প্রবীণ বিরোধী রাজনীতিক রনিল বিক্রমাসিংহে। তার দায়িত্ব নেয়ার পর প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত পরিস্থিতির এতটুকু উন্নতি হয়নি। বরং আরও খারাপ হয়েছে। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতায় শুক্রবার (৮ জুলাই) ফের রাজপথে নামে লঙ্কান জনতা। এদিন বিক্ষোভ থেকে আরও বড় বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয় আয়োজকরা। কিন্তু আগেই শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে কলম্বো ও আশপাশের এলাকায় কারফিউ জারি করে সরকার। শ্রীলঙ্কার পুলিশপ্রধান চন্দনা বিক্রমারত্নে বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে। আর কারফিউ চলাকালে সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু সরকারের সব আদেশ-নিষেধ আর কারফিউ উপেক্ষা করেই রাজপথে নামে মানুষ।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply