Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » ভারতের যে গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা আছে বই, মোড়ে মোড়ে বুকশেলফ




বইয়ের গ্রাম পেরুমকুলাম বিস্ময়কর এক গ্রাম পেরুমকুলাম। যে গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা আছে বই, মোড়ে মোড়ে বুকশেলফ। বই পড়তে বা খুঁজতে যেতে হয় না লাইব্রেরিতে। পুরো গ্রামটাই যেনো লাইব্রেরি; যেখানে থরে থরে সাজানো আছে বই থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পত্রিকা।

ভারতের কেরালা রাজ্যের কোল্লাম জেলার একটি গ্রাম পেরুমকুলাম। যে গ্রামকে ‘বইয়ের গ্রাম’ হিসেবে ঘোষণা দেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। জাতীয় অধ্যয়ন দিবস উপলক্ষ্যে এ ঘোষণা দেন তিনি। কেরালায় এটিই প্রথম বইয়ের গ্রাম হিসেবে স্বীকৃত। তবে এই স্বীকৃতির পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে কেরালার বাপুজি স্মারক গ্রন্থাগার। এই গ্রামের পথে-প্রান্তরে হাঁটতে হাঁটতে আপনি পেয়ে যাবেন বইঘর। যেখানে বসে বই থেকে শুরু করে খবরের কাগজ সবই পড়তে পারবেন। ২০১৭ সালে গ্রামটি ‘বই গ্রাম’ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। পেরুমকুলামের মোড়ে মোড়ে তৈরি হওয়া ছোট ছোট বইঘর থেকে ইচ্ছামতো বই নেয়া যায়, পড়া যায়। আবার পড়া শেষে সেই বই রেখে দেয়া যায়। আরও পড়ুন: ইউটিউব গ্রাম! বই পড়ার সংস্কৃতি জাগিয়ে তোলার প্রচেষ্টায় ১৯৪৮ সালে শুরু হয় এ বই গ্রামের কার্যক্রম। সদ্য স্বাধীন ভারত যখন মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডে শোক প্রকাশ করেছিল, তখন কেরালার এই গ্রামের একদল যুবক ১০০ বই সংগ্রহের কাজে নেমে পড়েছিল। পেরুমকুলামের বাসিন্দা কৃষ্ণা পিল্লাই নামের এক যুবক ও তার বন্ধুরা মিলে বইগুলো সংগ্রহ করেন। তারা সেই বইগুলো রাখেন পিল্লাই পরিবারেরই একটি ঘরে। এভাবেই গ্রামটিতে প্রথম গ্রন্থাগার স্থাপিত হয়। গ্রন্থাগারের নাম দেয়া হয় ‘বাপুজি মেমোরিয়াল লাইব্রেরি’। গ্রন্থাগারটি ১৯৫৭ সালে একটি নিজস্ব ভবন পেয়েছিল। যা ২০০৮ সালে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর গ্রামবাসীরা সবাই মিলে পুননির্মাণ করেছিলেন। ২০১৬ সালে গ্রন্থাগারটি আবারও সংস্কার করা হয়। গ্রন্থাগারটি প্রতি বছর ৩২ হাজার রুপি রাষ্ট্রীয় ভাতা পায়। ১০০ বই নিয়ে শুরু হওয়া এই লাইব্রেরিতে আজ প্রায় ৮০০০ বই রয়েছে। তবে গ্রামটি কীভাবে বই গ্রাম হিসেবে গড়ে উঠল? চলুন জেনে নেয়া যাক সেই কাহিনী ২০১৬ সালের দিকে বর্তমান প্রজন্ম ঠিক করল, পুরো পেরুমকুলামকেই গ্রন্থাগার হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তবে কীভাবে তা সম্ভব? পরবর্তীতে গ্রামের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছোট ছোট বইঘর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। রাস্তার পাশে গড়ে তোলা হলো ছোট ছোট বুকসেলফ। যেখানে রয়েছে হরেকরকম বই। বুকসেলফের দরজা খুলেই সেসব বই নেয়া যায়। আবার বন্ধ করে দিলেই ভেতরে নিরাপদ বই। কাঠের বাক্সের আকারের বুকসেলফ বৃষ্টিতে ভিজে যাতে বই নষ্ট না হয়, তারও ব্যবস্থা করা হয় উপযুক্ত আচ্ছাদনের মাধ্যমে। আরও পড়ুন: ‘মৃত’ মানুষের গ্রাম! পেরুমকুলামের পথের পাশের এক একটি বইঘরে থাকে ৫০টি করে বই। পথ-গ্রন্থাগার থেকে বই নিয়ে পড়ার এক অভিনব নিয়মও আছে। এসব বইঘর থেকে বই নিয়ে পড়তে কোনো চার্জ গুনতে হয় না। তবে এই বইঘরে একটি বই রাখার মাধ্যমেই কেবল আপনি বই নিয়ে পড়তে পারবেন। এভাবেই দিনের পর দিন এই পেরুমকুলাম গ্রামটি হয়ে ওঠেছে একটি ‘বই গ্রাম’। যেখানে সবাই বই পড়ে এবং পড়তে ভালোবাসে। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply