বাসভবন ছেড়ে পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
বিক্ষোভের মুখে সরকারি বাসভবন ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।
শনিবার (৯ জুলাই) বিক্ষোভকারীরা তার কলম্বোর সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়লে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন তিনি। খবর এএফপির।
এদিন রাজাপাকসের সরকারি বাসভবন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী ঘিরে ফেলে। তাদের দাবি, গ্রেফতার করতে হবে রাজাপাকসেকে। এ সময় পরিস্থিতি এমন রূপ ধারণ করে যে রাজাপাকসে বাসভবন থেকে পালাতে বাধ্য হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা যায়, জলকামান ও সেনারা বহু চেষ্টা করলেও বিক্ষোভকারী জনতাকে সরানো যায়নি। উল্টো এমন গুজব ছড়ায় যে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে।
এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে কলম্বো ও আশপাশের এলাকায় কারফিউ জারি করে সরকার। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে। আর কারফিউ চলাকালে সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়। শ্রীলঙ্কার পুলিশপ্রধান চন্দনা বিক্রমারত্নে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় সুদের হার এখন ১৫.৫ শতাংশ
শ্রীলঙ্কায় খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের পাশাপাশি দীর্ঘ বিদ্যুৎ ঘাটতি চলছে। এ অবস্থায় অব্যাহত রয়েছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। তারা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবি করেন। এদিকে চলতি বছর অর্থনীতি মন্দায় রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে পার্লামেন্টে বলেছেন, অর্থনীতি সর্বোচ্চ ৭ দশমিক শূন্য শতাংশ সংকুচিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা কতদিনে ঘুরে দাঁড়াবে, জালালেন বিক্রমাসিংহে
শ্রীলঙ্কার ‘দ্য সেন্ট্রাল ব্যাংক’ আমানতের পরিমাণ এবং সুদের হার ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। দেশটিতে গত মাসে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে গ্যাসও ফুরিয়ে এসেছে। আবার পাওয়া গেলেও তার দাম এতই বেশি যে মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। কেউ কেউ কেরোসিনের চুলায় রান্নার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পেট্রল ও ডিজেল আমদানির মতো পর্যাপ্ত ডলার নেই সরকারের কাছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা সংকটের শেষ কোথায়
শ্রীলঙ্কা একটি মধ্য আয়ের দেশ ছিল। জনগণের মাথাপিছু জিডিপি ফিলিপিন্সের সঙ্গে তুলনীয় ছিল তখন। লঙ্কানদের জীবনযাপনের মান প্রতিবেশী ভারতের জন্য ঈর্ষণীয় বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও করোনা মহামারিতে পর্যটনশিল্পে ধস নামায় দেশটির ডলার ফুরিয়ে গেছে। যে কারণে তারা আমদানির প্রয়োজন মেটাতে পারছে না।
Tag: English News lid news others world
No comments: