Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » গণপরিষদ এর সদস্য (MCA) মেহেরপুরের গাংনীর প্রথম নৌকার এমপি নূরুল হক।




মহসিন আলী আঙ্গুর// মরহুম নূরুল হক ১ আগস্ট ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) মেহেরপুরের গাংনীর মোহাম্মদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মুজিব উদ্দীন বিশ্বাস ও মাতা মরহুমা জিউজান নেসা। তিনি ১৯৩১ সালে মেহেরপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে পাবনা এ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৩৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করেন। তার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩৫ সালে বিএ পাশ করেন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন শেষে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসার এবং প্রথম বাঙ্গালী হিসাবে আর্টিলারি কোরে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৭ সালে সেনাবাহিনীর চাকুরী ত্যাগ করে গ্রামে হাজী ভরষ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি তৎকালীন গাংনী থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে সংগঠনের দায়িত্ব পান এবং ১৯৯৮ সালে মৃত্যু অবধি তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ( MPA) নির্বাচিত হন, ১৯৭২ সালে তিনি গণপরিষদ (গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন) এর সদস্য ছিলেন (MCA) এবং ১৯৮৬ সালে নৌকার প্রতীক নিয়ে গাংনীর প্রথম নৌকার এমপি হন।

তিনি একজন শিক্ষাবিদ ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি রাজনীতিও করতেন। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। বিরল প্রজ্ঞা ও ব্যক্তিত্বের অধিকারী নূরুল হক ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধুর হাতে হাত মিলিয়ে আন্দোলন করেন। ১৯৭১ সালে গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও তিনি সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। মোহাম্মদ নূরুল হক কলকাতা ফোর্ট উইলিয়াম ডাক বিভাগে চাকুরী গ্রহণের মাধ্যমে কর্ম জীবন শুরু করেন। ১৯৩৯ সালে চাকুরী থেকে পদত্যাগ করে সামরিক বাহিনীতে যোগদেন। ভারতের সেন্ট্রাল প্রদেশের কাটনী সেন্টার হতে ৯ মাসের দুরূহ অফিসার ট্রেনিং সম্পন্ন করে কমিশন প্রাপ্ত অফিসার পদে যোগদান করে পরে ব্রিটিশ ভারতের নিউ দিল্লী, পুনে, লক্ষ্ণৌ, বোম্বে, জব্বলপুর, লাহোর সহ বিভিন্ন ডিপোতে কাজ করেন। ২য় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর ক্যাপ্টেন ইন চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হন। একই বছরের ডিসেম্বর মাসে সামরিক বাহিনী থেকে ইস্তফা দিয়ে নিজ এলাকায় হাজী ভরষ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩৫ বছর প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি তৎকালীন গাংনী থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে সংগঠনের দায়িত্ব পান এবং ১৯৯৮ সালে মৃত্যু অবধি তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ( MPA) নির্বাচিত হন, ১৯৭২ সালে তিনি গণপরিষদ (গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন) এর সদস্য ছিলেন (MCA) এবং ১৯৮৬ সালে নৌকার প্রতীক নিয়ে গাংনীর প্রথম নৌকার এমপি হন। তিনি মৃত্যু পর্যন্ত গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। উনার ছোট চাচা আব্দুল হান্নান তৎকালীন নদীয়া জেলার এম এল এ ছিলেন। মরহুম নূরুল হক ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ৫ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন। মরহুম নূরুল হক ২৭ আগস্ট ১৯৯৮ সালে মারা যান। তাঁকে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার মোহাম্মদপুর নিজ গ্রামে তার মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply