গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনীর প্রস্তাব চূড়ান্ত: ইসি

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনীর প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। এ সপ্তাহেই সংশোধনী আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হতে পারে। কমিশন বলছে, ভোটার ও এজেন্টদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রিসাইডিং অফিসারের ক্ষমতা বাড়ানোসহ এক ডজনের বেশি সংশোধনী আনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের শেষে বা ২৪ সালের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ করেছে। এমনকি শুধু ইভিএম নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপও করেছে কমিশন। সংলাপের পরই নির্বাচন কমিশন আরপিও সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে গত রোববার (৭ আগষ্ট) কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। নির্বাচনী কাজে অবৈধভাবে বাধাদানকারী ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় আনতে নতুন উপ-ধারা যুক্ত করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনার ও আইন সংস্কার কমিটির প্রধান রাশেদা সুলতানা জানান, এজেন্ট ও ভোটার আসতে বাধা দেয়ার বিষয় নিয়ে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনের কাছে তুলে ধরে। কমিশন বলছে আরপিও সংশোধনী প্রস্তাবে এজেন্ট ও ভোটারদের সুরক্ষা দেয়া হয়েছে। রাশেদা সুলতানা আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আরো শক্তিশালী করতে অন্যান্য নির্বাচনী বিধিমালা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তিনি জানান, এ ছাড়া রাজনৈতিক দলের সব স্তরের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন।