আবারও আঘাত আসতে পারে, সতর্ক করলেন প্রধানমন্
ত্রী
আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতেই ২০০৪ সালে শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর খুনীরা ওই হামলার চক্রান্তে জড়িত উল্লেখ করেন তিনি। উন্নয়ন ব্যাহত করতে আবারও আঘাত আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত হন আওয়ামী লীগের ২২ নেতাকর্মী। কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সশরীরে উপস্থিত হন দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে স্মরণসভায় সেই দুঃসহ ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংস হামলা সম্ভব ছিলো না বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন- চক্রান্তে জড়িত বঙ্গবন্ধুর খুনীদের নিরাপত্তা দিয়েছিল তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেছিলাম যার কারণেই ২০০৪ সালে আমাকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। ২১ আগস্ট হামলার সময় মেজর ডালিম ও রশিদ বাংলাদেশে ছিল। তারা যখন দেখলো আমি মরিনি তারা দেশ ছেড়ে চলে গেলো। সে সময় বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যগুলো আপনারা খেয়াল করবেন।
বারবার আঘাত পেয়েও আওয়ামী লীগ প্রতিশোধ নেয়নি উল্লেখ করে আবারও আঘাতের ইঙ্গিত দিয়ে সতর্ক থাকার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন আঘাত আরও হতে পারে। দেশকে যারা জঙ্গিবাদি রাষ্ট্র বানাতে চায়, তারা বসে থাকবে না। দেশবাসীকে এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
একুশের আগস্টে গ্রেনেড হামলায় বেঁচে ফেরাদের নতুন জন্ম হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে একুশে আগস্ট। হ্যাঁ, সেদিন আমাদের নতুন জন্ম হয়েছে; যারা সেদিন র্যালিতে ছিলাম। কিন্তু আমাদের দায়িত্ব জনগণের প্রতি। আর সেই দায়িত্ব যতক্ষণ পর্যন্ত নিঃশ্বাস আছে, পালন করে যাবো; সেটাই হচ্ছে আজকের প্রতিজ্ঞা।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম প্রমুখ।
এছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
Tag: English News lid news national
No comments: