Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » সঙ্ঘের প্রভাবমুক্ত হচ্ছে বিজেপির শীর্ষ কমিটি? বাদ গাদকারি, জায়গা হল না যোগীরও




সঙ্ঘের প্রভাবমুক্ত হচ্ছে বিজেপির শীর্ষ কমিটি? বাদ গাদকারি, জায়গা হল না যোগীরও

ক্রমেই ডানা ছাঁটা হচ্ছে জনপ্রিয় এবং প্রশাসনিকভাবে যোগ্য নেতাদের। তাঁরা প্রত্যেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের বা আরএসএসের একান্ত অনুগত। তা সত্ত্বেও বাদ পড়ছেন বিজেপির সর্বোচ্চ কমিটি থেকে। এর অর্থ একটাই, দলে নিষ্কণ্টক হওয়ার পথে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের একচ্ছত্র আধিপত্য। সূত্রের দাবি, সঙ্ঘের ছায়া থেকে বেরিয়ে এবার দলের সর্বোচ্চ স্তর থেকে সাংগঠনিক কমিটিকে সাজানো হচ্ছে পুরোপুরি মোদির স্টাইলে। তার জেরে বাদ পড়েছেন সঙ্ঘ অনুগত দুই শীর্ষ নেতা। দীর্ঘদিন বাদে বুধবার বড়সড় রদবদল হয়েছে বিজেপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ কমিটি, সংসদীয় বোর্ডে। সেখানে বিস্ময়করভাবে বাদ পড়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গাদকারি এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। অর্থাৎ, তাঁদের ডানা ছাঁটার পর্ব শুরু। বোর্ডে ঠাঁই পাননি গেরুয়া শিবিরের ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথও। কেন? এর নেপথ্যে কি অন্য কোনও রসায়ন? বাড়ছে জল্পনা। বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ কমিটিতে স্থান পাওয়া‌ই ঩যে কোনও নেতার চূড়ান্ত লক্ষ্য। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের প্রার্থী নির্বাচন, নির্বাচনী রণকৌশল ইত্যাদি তাবৎ সিদ্ধান্তে অন্তিম সিলমোহর দেয় এই সংসদীয় বোর্ড। সেখান থেকে নীতিন গাদকারি এবং শিবরাজ সিং চৌহানের বাদ পড়ার অর্থ একটাই, তাঁরা আর দলের কাছে আগের মতো গুরুত্বপূর্ণ নন। নতুন সদস্য হিসেবে বোর্ডে নিয়ে আসা হয়েছে অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল, কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা এবং কে লক্ষ্মণকে। জায়গা পেয়েছেন সত্যনারায়ণ জাটিয়া, সুধা যাদব, ইকবাল সিং লালপুরাও। কিন্তু যাকে নিয়ে জল্পনা চরমে, তিনি যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশে দলকে বিপুল ভোটে জিতিয়ে এনেছেন। ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও তাঁর নাম শোনা যাচ্ছে। সেই স্বপ্ন লালন করা যোগী আদিত্যনাথ জায়গা পাননি সংসদীয় বোর্ডে। অন্যদিকে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এককভাবে রাজ্যে জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী। সর্বানন্দ সোনেওয়ালকে সরিয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। দলীয় সূত্রের দবি, এবার হিমন্তকে চাপে রাখতে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ কমিটিতে নিয়ে আসা হল সোনেওয়ালকে। পক্ষান্তরে ৭৭ বছরের বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে সংসদীয় বোর্ডে নতুন করে মনোনীত করার কারণ মূলত কর্ণাটকে দলের গৃহযুদ্ধ বন্ধ করা। বাসবরাজ বোম্মাইকে মুখ্যমন্ত্রী রেখেই আগামী নির্বাচনে লড়াই করার কথা ঘোষণা করেছে বিজেপি। তারপর থেকে ইয়েদুরাপ্পাপন্থীদের বিক্ষোভ প্রকট হচ্ছে। সেই বিদ্রোহ সামাল দিতে তাঁকে সর্বোচ্চ দলীয় সাংগঠনিক সিদ্ধান্তগ্রহণকারী কমিটিতে নিয়ে আসা হল। এদিকে, গাদকারি সঙ্ঘের কাছের মানুষ। প্রশাসনিকভাবেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বিশেষভাবে সফল হিসেবে পরিচিত। একাধিকবার দল ও সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন। তাঁকে বাদ দেওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আবার ইয়েদুরাপ্পা মোটেই সঙ্ঘের পছন্দের তালিকায় নেই। সুতরাং একটা বিষয় স্পষ্ট, বিজেপির অন্দরে যে ক্রমেই শিথিল হচ্ছে আরএসএসের শাসন। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ময়দানে নামতে চায় মোদির দল। কোনও রিমোট কন্ট্রোল ছাড়াই।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply