রানির মৃত্যুতে দ্বিধাবিভক্ত অস্ট্রেলিয়া
এখনও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু শোক কাটেনি। তার মাঝেই প্রজাতন্ত্র রাজতন্ত্র নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বিতর্কে জড়াচ্ছেন পার্লামেন্ট সদস্যসহ সাধারণ নাগরিকরা।
প্রজাতন্ত্রের দাবিতে এর আগে দেশটিতে কথা উঠলেও, রানির মৃত্যু তা বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল গত শুক্রবার বিবিসিকে বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, রানি ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রজাতন্ত্র ব্যবস্থা সম্ভব নয়। তবে এখন রানির রাজত্ব শেষ হয়েছে। তার মানে এখনই গণভোট হতে হবে, ব্যাপারটা এমন নয়। তবে বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না।
তবে টার্নবুল একজন কট্টর প্রজাতন্ত্রপন্থী হওয়া সত্ত্বেও সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি রানির স্মৃতি স্মরণ করে কেঁদেছেন। এতেই প্রমাণ হয় যে, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে রাজতন্ত্রের সম্পর্ক জটিল এবং মর্মস্পর্শী।
তবে রাজতন্ত্র প্রজাতন্ত্র নিয়ে এখন কথা বলা সময় নয় বলে জানান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ। আলবেনিজ গত জুনে সহকারী মন্ত্রী নামে একটি নতুন পদ সৃষ্টি করেছেন এবং সেই পদে ম্যাট থিসলেথওয়েটকে নিয়োগ দিয়েছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থিসলেথওয়েট বলেছিলেন, রানির জীবদ্দশায় অস্ট্রেলিয়ায় ব্রিটিশ রাজপরিবারের ভূমিকার কোনো পরিবর্তন হবে না।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ব্রিটিশ সিংহাসনে অভিষেক ঘটেছে রাজা তৃতীয় চার্লসের। নিয়ম অনুসারে তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান। তবে রানির মৃত্যু শোক এখনও দগদগে অস্ট্রেলিয়াবাসীর মনে।
অস্ট্রেলীয় নারী লিটিয়ানা ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, রানির মৃত্যু শোক এখনও ভুলতে পারিনি। তবে চার্লস রাজা হওয়ায় আমি খুশি। তার অভিষেকের দিনে আমিও বলেছি গড সেভ দ্যা কিং।
গেলো ৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডের বালমোরালে ৯৬ বছর বয়সী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। রানির মৃত্যুর পর কয়েক দিনের ধারাবাহিক শোকানুষ্ঠান শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া। যেমন, শনিবার অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের কুইন্স টেরেসে রানির স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। পার্লামেন্টের কার্যক্রম ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ২২ সেপ্টেম্বরে এক দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া রানির শেষকৃত্যের আগপর্যন্ত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখছে অস্ট্রেলিয়া।
No comments: