Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » দলীয় প্রেসিডেন্টের পদ কি গান্ধী পরিবারের হাতছাড়া হচ্ছে?




দলীয় প্রেসিডেন্টের পদটি গান্ধী পরিবারের বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও জোরালো হলো ভারতীয় কংগ্রেসে। এক্ষেত্রে দুই সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী, দলের অন্যতম প্রবীণ নেতা ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং দলটির সংস্কারপন্থি নেতা হিসেবে খ্যাত শশী থারুর। এরইমধ্যে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে দলীয় প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে শশী থারুর সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলে খবর দেয় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। কংগ্রেসের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দলীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে শশী থারুরই যে অশোক গেহলটের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে যাচ্ছেন তা অনেকটাই নিশ্চিত। স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দলটির সংসদ সদস্য শশী থারুর কংগ্রেসের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে তার বাসভবনে যান। সোনিয়ার সঙ্গে শশীর সাক্ষাতের পরপরই দলীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এনডিটিভি বলছে, আগামী অক্টোবরেই দলটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে তার আগে দলীয় প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন দাখিল শুরু হবে চলতি সপ্তাহেই। তাই মনোনয়ন দাখিলের ঠিক আগের সময়ে সোনিয়ার সঙ্গে শশী থারুরের সাক্ষাৎকে অর্থবহ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। দলের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা শশী থারুর দলীয় প্রেসিডেন্টের পদে লড়তে পারেন এমন গুঞ্জন বেশ আগে থেকেই ছিল। যদিও তিনি এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করেননি। আরও পড়নু: শুরু হলো কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ অপরদিকে গান্ধী পরিবারের বাইরে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য বিবেচিত হতে পারেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলটও। দলটির একটি সূত্র জানিয়েছে, কংগ্রেস যদি গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করে তবে দৌঁড়ে প্রথম দিকেই থাকবেন অশোক গেহলট। অশোক গেহলট বা শশী থারুর আলোচনায় থাকলেও, গান্ধী পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করে বলা হয়নি যে, তাদের কেউ দলীয় প্রধানের পদে লড়বেন না। রাহুল গান্ধী তো বটেই, সোনিয়া গান্ধীর দলীয় প্রধান পদে নির্বাচনে লড়ার বিষয়টিও উড়িয়ে দেয়া যায় না। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সোনিয়া গান্ধীকে কংগ্রেসের রাজ্যপ্রধান এবং সর্বভারতীয় কমিটির সদস্য নির্বাচনের ক্ষমতা দিয়ে রেজ্যুলেশন পাস করতে আহ্বান জানায় দলটির সর্বোচ্চ কমিটি। একইসঙ্গে তাকে পরবর্তী দলীয় প্রেসিডেন্ট মনোনীত করার ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টিও আলোচিত হয়েছিল তখন। দলীয় এ সিদ্ধান্তই আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় দলীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে এক বড় প্রশ্নের জন্ম দেয়। তাহলে কি সোনিয়া গান্ধীই ভারতের সবচেয়ে পুরোনো দলটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন? এ বিষয়ে খোলাসা করে নিজে কিছু বলেননি সোনিয়া। এছাড়া তার ছেলে ও কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী গত ৯ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘আমি কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট হবো কিনা, তা নির্বাচনের পরই বোঝা যাবে। আমার কী করতে হবে সে বিষয়ে আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি।’ যদিও রাহুল এই বিষয়ে আর কোনো তথ্য দেননি। ফলে রাহুল গান্ধীর বিষয়টিও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। তবে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব যাকেই দেয়া হোক না কেন, তাকে বিশাল এক কর্মযজ্ঞের নেতৃত্ব দিতে হবে। বিজেপির মতো রাজনৈতিক শক্তির মোকাবিলায় নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি পুনরুদ্ধার করে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়াতে হবে। কিন্তু এরইমধ্যে বিজেপির বাইরেও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসসহ রাজ্য পর্যায়ে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলকেও মোকাবিলা করতে হবে। আরও পড়ুন: দেশজুড়ে ঘৃণা ছড়াচ্ছেন মোদি: রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের একটি বড় অংশই চান গান্ধী পরিবারের কেউ দলীয় প্রধান হোন। আবার অনেকেই চান দলীয় প্রধান হবেন গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply