রাশিয়াকে দমাতে না পেরে ‘হতাশ’ যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ার অর্থনীতিতে এখন পর্যন্ত বড় কোনো প্রভাব ফেলতে না পারায় ‘হতাশা’ প্রকাশ করেছেন সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তারা। তবে আগামী বছরের প্রথম দিকে নিষেধাজ্ঞার ‘কঠোরতম প্রভাব’ দৃশ্যমান হতে পারে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তারা।
ছবি: সিএনএন
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আশা ছিল নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তারা দ্রুত ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘যুদ্ধযন্ত্রকে’ বন্ধ করে দেবে। যা ক্রেমলিনের জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে তার লক্ষ্য অর্জন কঠিন করে তুলবে। এমনকি রাশিয়ায় পুতিনবিরোধী জনমত গঠনেও তা সহায়ক হবে। কিন্তু বাইডেন প্রশাসনের অনেক শীর্ষ কর্মকর্তার এমন প্রত্যাশার বিপরীতে রুশ অর্থনীতি অনেক বেশি শক্তিশালী প্রমাণিত হয়েছে।
সিএনএন বলছে, জ্বালনির দাম বেড়ে যাওয়ায় বসন্ত এবং গ্রীষ্মে রাশিয়ার রাজস্ব আয় রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এটিই মস্কোর অর্থনীতির মূল ভিত্তি।
ফিনিশ সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের তথ্য অনুসারে, যুদ্ধের প্রথম ১০০ দিনে রাশিয়া তেল, গ্যাস এবং কয়লা রফতানি করে রেকর্ড ৯৩ বিলিয়ন ইউরো আয় করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে রাশিয়ার অর্থনীতি এখনও প্রায় ৪ শতাংশ সঙ্কুচিত। তবে এটি ১৫ শতাংশের ধারে-কাছেও নেই, চলতি বছরের শুরুতে যেমনটা আশা করেছিলেন অনেকে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করতে চান পুতিন
সিনিয়র এক মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, আমাদের আশা ছিল সুইফট এবং রুশ ব্যাংকের ওপর সব নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ান অর্থনীতিকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দেবে, কিন্তু তা হয়নি। তবে আমরা এখন যে রাশিয়াকে মোকাবিলা করছি, আগামীতে অর্থনৈতিকভাবে তার চেয়ে অনেক বেশি দুর্বল রাশিয়াকে মোকাবিলা করব।
বাইডেন প্রশাসনের আরেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার সবচেয়ে বড় প্রভাবগুলো দ্রুত দৃশ্যমান হবে, তা আমরা বিশ্বাস করি না। কারণ আমরা সবসময় এটাকে ‘দীর্ঘমেয়াদী খেলা’ হিসেবে দেখেছি।
Tag: English News lid news others world
No comments: