৫ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং বিভিন্ন এলাকায়
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিংয়ের প্রবণতা বেড়েছে। দিনে এক থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। অপরিকল্পিত এই লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ মানুষ। বিশেষ করে শিশু, শিক্ষার্থী, রোগী ও ব্যবসায়ীদের বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিনে সর্বোচ্চ ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং করা হয়েছে। এখন তা ৩ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত বেড়েছে। যা গত ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) কর্মকর্তারা বলছে, গত তিন মাসে এমন পরিস্থিতি হয়নি। কিছুদিন ধরে পরিস্থিতি খুব খারাপ যাচ্ছে। কোথাও কোথাও পাঁচবার লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
এদিকে অতিরিক্তি লোকশেডিংয়ের কারণে রাতে ঘুম না হওয়ায় দিনের বেলায় শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব পড়ছে। শিক্ষার্থীরা পড়ায় মনোযোগী হতে পারছে না। স্কুলেও সময়মতো যেতে পারছে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে তাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। পিক আওয়ারে বিদ্যুৎ না থাকায় ক্রেতারাও আসছেন না। যার কারণে কেনাবেচা অনেক কমে গেছে। এ ছাড়া নবজাতক ও রাগীদেরও একই অবস্থা। লোডশিডেংয়ের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলছেন, নভেম্বরের আগে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতির আশা নেই।
তিনি বলেন, লোডের কারণে দিনের বেলা কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ রাখতে হচ্ছে। আবার দিনে যেগুলো চালাচ্ছি সেগুলো রাতে বন্ধ রাখছি। এজন্য লোডশেডিংয়ের জায়গাটা একটু বড় হয়ে গেছে। আশা করছি, নভেম্বর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই দেশে বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ১৯ জুলাই দেশজুড়ে লোডশেডিং শুরু হয়।
Tag: English News politics
No comments: