Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উল্লাস ভারতীয়দের




যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে নিয়ে উল্লাসে মেতেছে ভারত। রীতিমতো উদ্‌যাপন করছে দেশটির মানুষ। সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দেশটির জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে। তাকে ‘নিজেদের একজন’ বলে দাবি করছেন তারা। বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত রোববার (২৩ অক্টোবর) অনেকটা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হন সুনাক। দুদিন পর মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাজা তৃতীয় চার্লসের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। জন্মসূত্রে সুনাক ব্রিটিশ নাগরিক। তার জন্ম যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটনে। তার মা-বাবাও জন্মসূত্রে ভারতীয় নন। তাদের জন্ম কেনিয়ার নাইরোবিতে। সেখান থেকেই তারা যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। তবে দাদা-দাদির সুবাদে তাকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বলা যায়। কারণ, তার দাদা-দাদির জন্ম অবিভক্ত ভারতের গুজরানওয়ালায়। বর্তমানে জায়গাটা পাকিস্তানের পাঞ্জাবের অন্তর্ভুক্ত। সেদিক থেকে সুনাক পাকিস্তানি বংশোদ্ভূতও। বিবিসি বলছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের এ ভারত সংযোগই বহু ভারতীয়র হৃদয়ে খুশির জোয়ার তুলেছে। তবে এক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদীরাই সবচেয়ে বেশি উৎফুল্ল এবং তারা তাদের ধর্মবিশ্বাসের মধ্য দিয়ে সুনাককে নিজেদের একজন বলে দাবি করছেন। আরও পড়ুন: রাজা চার্লসের চেয়েও বেশি ধনী সুনাক ও তার স্ত্রী মূলত গত সোমবার (২৪ অক্টোবর) সুনাকের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বরিস জনসন ও পেনি মরডান্ট তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই রীতিমতো উল্লাসে ফেটে পড়েন ভারতীয়রা। ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের শিরোনামগুলোই তার প্রমাণ। সুনাক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভারতের ইংরেজি ভাষার সবচেয়ে বড় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া শিরোনাম করে ‘আ প্রাউড হিন্দু ইজ দ্য নিউ ইউকে পিএম’–‘একজন হিন্দু হয়েও যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী’। সংবাদমাধ্যমটির ওই প্রতিবেদনটিতে ‘হিন্দু’ শব্দটি অন্তত পাঁচবার উল্লেখ করা হয়েছে। ইন্ডিয়া টুডের শিরোনাম ‘বিং হিন্দু ইন ১০ ডাউনিং স্ট্রিট’। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও যুক্তরাজ্যের শীর্ষ দায়িত্ব পেলেন সুনাক’। অন্যান্য সংবাদমাধ্যম ঔপনিবেশিক যোগসূত্র টেনেছে। হিন্দি ভাষার পত্রিকা দৈনিক ভাস্কর শিরোনাম করেছে, ‘অ্যানাদার দিওয়ালি গিফট টু দ্য ন্যাশন, ইন্ডিয়ান-অরিজিন ঋষি টু রুল দ্য হোয়াইটস–যার অর্থ ‘জাতিকে দিওয়ালির আরও একটি উপহার, শ্বেতাঙ্গদের শাসন করবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি।’ ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের আগপর্যন্ত প্রায় ২০০ বছর যুক্তরাজ্যের উপনিবেশ ছিল ভারত। কিছুদিন আগেই ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার ৭৫ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করেছে দেশটি। এমন সময়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজনের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার বিষয়টিকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছে দেশটির নাগরিকদের অনেকেই। তাদের ধারণা, নতুন প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল হবেন। তাছাড়া সোমবার দিওয়ালি বা দীপাবলি উৎসব পালন করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। তার আগের রাতে টি-২০ বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারায় ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দল। যার রেশ কাটতে না কাটতেই ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খবর। যাতে ভারতীয়দের উল্লাসের বাঁধ ভাঙে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্লাস প্রকাশ করেন অনেকেই। আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই যা বললেন ঋষি সুনাক এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন: ‘এবারের দীপাবলি ভারতের দুর্দান্ত ক্রিকেট জয়সহ সবকিছুর জন্যই দুর্দান্ত। একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও আমাদের নারায়ণ মূর্তির (প্রযুক্তি ব্যবসায়ী) জামাই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন।’ তিনি আরও লিখেছেন: ঋষি সুনাক গীতায় (হিন্দুদের পবিত্র গ্রন্থ) হাত রেখে এমপি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। তিনি যদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার জন্য একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেন, সেটি ভারতের জন্য কী দারুণ একটি দিন হবে। তা-ও আবার ব্রিটেন থেকে আমাদের স্বাধীনতা লাভের ৭৫তম বছরে। সাবেক ভারতীয় কূটনীতিক রাজীব ডোগরা টুইটারে লিখেছেন: ঋষি সুনাক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়া যুক্তরাজ্যের জন্য হবে দীপাবলির দারুণ উপহার এবং ভারতে উদ্‌যাপনের কারণ। কনজারভেটিভ পার্টির ভারতীয় বংশোদ্ভূত এমপিরাও একইভাবে উজ্জীবিত। নটিংহ্যামের এমপি রবি কুমার বলেন, ‘আমি ৮০-৯০-র দশকে বড় হয়েছি এবং আমার জীবদ্দশায় একজন অশ্বেতাঙ্গ (ব্রিটিশ) প্রধানমন্ত্রী দেখব, কল্পনাও করিনি। আমি সবসময় এটিকে শ্বেতাঙ্গদের দেশ হিসেবে দেখেছি এবং আমরা কেবল অভিবাসীদের সন্তান হিসেবে আসব... সুতরাং একজন ব্রিটিশ ভারতীয় নেতাকে দেখা অসাধারণ।’ থিংক-ট্যাংক ব্রিটিশ ফিউচারের পরিচালক সুন্দর কাটওয়ালার মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তিনি বলেন, এটি ব্রিটিশ রাজনীতির শীর্ষে এক নতুন স্বাভাবিকতা এবং আংশিকভাবে এ মুহূর্তের রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার ফল। কাটওয়ালা বলেন, ‘আমরা (যুক্তরাজ্যে) তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রীর পর প্রথম এশীয় (বংশোদ্ভূত) প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছি… ঋষি সুনাক আসলে ইতিহাসে পঞ্চম ব্রিটিশ এশীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, যা ২০১০ সাল পর্যন্ত একজনও ছিল না।’






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply