Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » গ্রেডিং পদ্ধতি জিপিএ-৫ খুবই ভয়ংকর ব্যাপার: জাফর ইকবাল




জিপিএ-৫ খুবই ভয়ংকর ব্যাপার: জাফর ইকবাল দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের গ্রেডিং পদ্ধতি জিপিএ-৫ নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন শিক্ষাবিদ ও লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি জিপিএ-৫–কে ‘খুবই ভয়ংকর ব্যাপার’ বলে মন্তব্য করেছেন।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে পঞ্চম বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড ২০২২-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। Google News Channel24 অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন অনুষ্ঠানে মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, একটা সময় ছিল, যখন কেউ আমাকে বলত, এই যে আমার ছেলে বা মেয়েটা জিপিএ-৫ পেয়েছে। বলতাম বাহ্ কী চমৎকার! তারপর আস্তে আস্তে দেখতে লাগলাম, জিপিএ-৫ পাওয়াটা আসলে খুবই ভয়ংকর ব্যাপার। কোনো মা-বোন যখন বলেন যে আমার ছেলে বা মেয়েটা জিপিএ-৫ পেয়েছে, আমি বলি যে আহারে, বাচ্চাটাকে কত কষ্ট করতে হইছেরে, স্কুলে যেতে হইছেরে, কোচিং করতে হইছেরে, তারপর প্রাইভেট পড়তে হইছে, গাইড বই মুখস্থ করতে হইছেরে, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হইছেরে, বাপ-মা ফেসবুক থেকে প্রশ্ন ডাউনলোড করে সলভ করছেরে, তারপর সেটা মুখস্থ করাইছেরে...আহারে, বাচ্চাটার কষ্ট হইছে! আমার ভেতরে কোনো আনন্দ নেই৷ তারপরও কোনোভাবে যদি ফল একটু খারাপ হয়ে যায়, বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন বাচ্চাটাকে বকে ও গালাগাল করে। আমার বুকটা একদম ভেঙে যায়, যখন দেখি যে পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ায় অমুক জায়গায় একটা ছেলে আত্মহত্যা করেছে। তোমরা এগুলো নিয়ে মাথা ঘামাবা না। তোমরা তোমাদের দেড় কেজি ওজনের মস্তিষ্কটাকে বাঁচিয়ে রাখো৷ ব্যস আর কিছু লাগবে না৷ মুহম্মদ জাফর ইকবাল অনুষ্ঠানের প্রতিযোগী ও তাদের অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, সবাই পুরস্কার পাবে না, কেউ কেউ পাবে। পুরস্কার পাওয়াটাই বড় কথা নয়, পুরস্কার না পেলে জীবন বৃথা যায় না। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, বাচ্চাদের সুকুমার বৃত্তি-চিন্তার সক্ষমতার বিকাশ এবং পরীক্ষার চাপ কমানোর বিষয়টি নতুন পাঠ্যসূচিতে ইন্ট্রোডিউস করতে হবে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে সেটি শুরু হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি। এ ক্ষেত্রে বাবা-মা ও শিক্ষকদের সহযোগিতা লাগবে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের সভাপতি লাফিফা জামাল। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন সেঁজুতি রহমান। আলোচনা পর্ব শেষে পঞ্চম রোবট অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও মহিবুল হাসান চৌধুরী।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply