হামলায় দৃষ্টিশক্তি ও হাতের কার্যক্ষমতা হারিয়েছেন রুশদি

হামলায় দৃষ্টিশক্তি ও হাতের কার্যক্ষমতা হারিয়েছেন রুশদি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক চোখের দৃষ্টিশক্তি ও এক হাতের কার্যক্ষমতা হারিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদি। একথা জানিয়েছেন রুশদির এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলিস। এ সময় রুশদির ওপর হওয়া হামলা ভয়াবহ ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে রুশদি এখন কোথায় আছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি ওয়াইলিস।

গত ১২ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বিতর্কিত লেখক সালমান রুশদির ওপর হামলা চালায় এক যুবক। এতে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও, এক চোখ ও এক হাত হারিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানায়, রুশদির ওপর ওই হামলা কতটা ‌‘নিষ্ঠুর’ ও প্রাণঘাতী ছিল, সে বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন ওয়াইলিস। তিনি জানান, রুশদির বুকে ১৫টি গভীর ক্ষত রয়েছে এবং তিনি এক চোখ হারিয়েছেন। গলায় তিনটি গুরুতর জখমও রয়েছে। তার এক হাত অক্ষম হয়ে গেছে। আরও পড়ুন: রুশদির ছুরিকাঘাতে মোসাদের হাত থাকতে পারে, দাবি মার্কিন অধ্যাপকের ইসলাম ধর্ম নিয়ে ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ নামে বিতর্কিত বই লিখে আশির দশক থেকেই হুমকির মুখে ছিলেন রুশদি। ১৯৮৮ সালে ইরানে নিষিদ্ধ হয় বইটি। এর এক বছর পর ইরানের প্রয়াত নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি রুশদিকে হত্যার ফতোয়া দেন। তার ‘মাথার মূল্য’ ৩০ লাখ ডলার নির্ধারণ করে দেয়া হয়। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই লেখকের যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য উভয় দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে সোচ্চার রুশদি বেশ কয়েকবার নিজের কাজের পক্ষে তার অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। তবে এর পরও শেষ রক্ষা হয়নি। সুযোগ বুঝে হামলা চালানো হয় তার ওপর। যদিও সন্দেহভাজন হামলাকারী ২৪ বছর বয়সী হাদি মাতারকে গ্রেফতার করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলাও করা হয়েছে।