Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » ভাগ্য বদলায়, ইউরোপকে হয়তো আসতে হবে এশিয়ায়




এশিয়ার কাছে ইউরোপ মানেই ছিল উন্নয়ন। কিন্তু করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউরোপের এমনই দশা যে, তার বহু পুরোনো আভিজাত্য দিনকে দিন ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অনেকেই বলছেন, সেদিন দূরে নয়, যেদিন ইউরোপ এশিয়ার দ্বারস্থ হবে। ঔপনিবেশিকতাবাদের একশ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই বদলে যাচ্ছে ইতিহাস। ইতিহাস শোধ তুলছে ইউরোপের ওপর। যেখানে আফ্রিকা মানেই ছিল দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষ আর এশিয়া মানে মধ্যবিত্তদের মতো ছেঁড়া কাথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা, সেখানে উচ্চবিত্ত ইউরোপ এখন নতশিরে এশিয়ার দ্বারস্থ হচ্ছে। সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হেনরি অ্যান্ড পার্টনার্সের প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, আগামী বছরগুলোতে এশিয়া ও আফ্রিকার মতো দেশগুলোতে অতি ধনীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। ২০৩২ সালের মধ্যে সম্পত্তির হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে টপকে যাবে এশিয়া ও আফ্রিকা। আগামী ১০ বছরের এশিয়ার ভারত ও ভিয়েতনাম হবে দ্রুতবর্ধক অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। তথ্য-উপাত্ত ছাড়াও ইউরোপের দিকে তাকালে দেখা যায়, তারা একটি সংকটকালীন সময় পার করছে। মূল্যস্ফীতি যেন দুঃস্বপ্নের মতো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে ইউরোপকে। বিগত ৪২ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে যুক্তরাজ্য, জার্মানির রাস্তায় দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে বিক্ষোভ, হিমশিম খাচ্ছে ফ্রান্স-ইতালি। বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৮টি দেশের মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে এসে ঠেকেছে। ইউরোপের এ অবস্থাকে ডেনমার্কের অর্থনীতিবিদ এলেন সোরেনসেন মানিব্যাগে টাকার বদলে দুঃস্বপ্ন নিয়ে ঘোরার সঙ্গে তুলনা করেছেন। আরও পড়ুন: এত কিছুর পরেও শীর্ষ দশে রাশিয়া তিনি বলেন, সমগ্র ইউরোপ এখন মূল্যস্ফীতির জাঁতাকলে পিষ্ট। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৮টি দেশ দুই অঙ্কের মূল্যস্ফীতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। বিশেষ করে বাল্টিক অঞ্চলের অবস্থা বেশি খারাপ। অন্যদিকে এশিয়া রয়েছে অনেকটা সুবিধাজনক জায়গায়। দিনকে দিন এ অঞ্চলে ধনীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বলছে, এশিয়ায় বৈষম্যমূলক অর্থনৈতিক অবস্থা প্রকট। এশিয়া কি আদৌ ইউরোপকে টপকাতে পারবে–এ প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের অধ্যাপক রাশেদুজ্জামান সময় সংবাদকে বলেন, এখনই এটা বলা যাচ্ছে না। ইউরোপ কিন্তু আগেও সংকটকালীন সময় পার করেছে এবং ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে দুটি বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের অবস্থা যাচ্ছেতাই ছিল। কিন্তু পরে তারা নিজেদের সামলে নিতে পেরেছে। অধ্যাপক রাশেদুজ্জামান বলেন, ইউরোপ এখন সংকটকালীন সময় পার করছে। তবে সামনে এশিয়ার জন্যই বড় বড় চ্যালেঞ্জ আছে। বিশেষ করে জলবায়ু সংকট ইউরোপকে যতটা-না ভোগাবে, তার থেকেও বেশি ভোগাবে এশিয়াকে। বিগত দুই বিশ্বযুদ্ধে বদলে গিয়েছিল বৈশ্বিক পরাশক্তির নাম। ব্রিটেন ও ফ্রান্সের বদলে যুক্তরাষ্ট্র দখল করে নিয়েছে পরাশক্তির স্থান। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে অনেকেই বলছেন আবারও বদল হবে বিশ্ব পরাশক্তির। এ ব্যাপারে রাশেদুজ্জামান বলেন, বিগত দুই বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেন ও ফ্রান্স সরাসরি আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কিন্তু সরাসরি কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, যুক্তরাষ্ট্র একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে। পরাশক্তি হিসেবে এশিয়ার দেশ চীনের উত্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, চীন ভালো অবস্থানে আছে; তবে পরাশক্তি হতে যেসব যোগ্যতা দরকার, তা এখনও চীনের নেই। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি, প্রযুক্তি ও গবেষণায় ব্যবহৃত টপ ব্রেন ও হস্তক্ষেপ করার কৌশল এখন পর্যন্ত অদ্বিতীয়। চীনের কথা বাদ দিয়ে যদি রাশিয়ার কথাও বলি, সেখানেও কিন্তু রাশিয়াকে পরাশক্তি বলা যায় না। এক সামরিক শক্তি ছাড়া রাশিয়া বাকি দিকে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় যথেষ্ট দুর্বল।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply