Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব




মাত্র এক মাস আগেই দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমানো হয় লিটারে ১৪ টাকা। এখন আবার লিটারপ্রতি ১৫ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে তারা গত মঙ্গলবার সয়াবিনের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দিয়েছে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও ডলারের বিপরীতে টাকার অস্বাভাবিক দরপতনের ফলে অ্যাসোসিয়েশনভুক্ত সদস্যরা বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯৩ টাকা করার প্রস্তাব করেছে। তাতে বোতলজাত সয়াবিনের বর্তমান বাজারদর ১৭৮ টাকার হিসাবে লিটারপ্রতি দাম বাড়বে ১৫ টাকা। একই সঙ্গে সংগঠনটি ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন ৯৫৫ টাকা করার প্রস্তাব করেছে। বর্তমানে বোতলজাত ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের বাজারমূল্য ৮৮০ টাকা। অর্থাৎ বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিনের দাম ৭৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। এ ছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ১৭৩ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৫৮ টাকায়। তাতে খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে সয়াবিনের দাম বাড়ানোর বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। সাধারণত ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব যাওয়ার পরে তা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। আর এসব পণ্যের দাম বাড়ানো যৌক্তিক কি না, তা পর্যবেক্ষণ করে থাকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিলে সেই অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এদিকে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বৈশ্বিক সংকটকে দায়ী করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনাসংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চতুর্থ সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে। তবে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমলেও আমাদের দেশে না কমার কারণ, ডলারের দাম বেশি। এ কারণে ভোক্তা কম দামের সুফল পাচ্ছে না।’ অতীতে দেখা গেছে, ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিকদের পক্ষ থেকে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়ার পরে বাজারে সয়াবিন তেলের কিছুটা সংকট দেখা দেয়। বেশি দামে সয়াবিন বিক্রির জন্য কিছু ব্যবসায়ী সয়াবিন তেল মজুত করে রাখেন। অবশ্য গত কয়েক দিন বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহে কোনো ঘাটতি দেখা যায়নি। বোতলজাত ও খোলা উভয় ধরনের তেলের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এর আগে গত ৩ অক্টোবর বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৭ টাকা কমিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। এক মাসের ব্যবধানে সয়াবিন তেলের দাম আবার সমপরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ভোজ্যতেল মিলমালিকেরা।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply