পোল্যান্ডে পড়ল ‘রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র’, নিহত ২

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ইউক্রেনের একটি পাওয়ার গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময় কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ডকে আঘাত করে এবং মলদোভার বেশিরভাগ অংশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বলে পোল্যান্ড দাবি করেছে। খবর এপির। সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, এটি এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলার সময় রাশিয়ার কিছু ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ড অতিক্রম করেছে। এসময় সেখানে দুই জন নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ন্যাটো দেশের ওপর হামলার এটি চিহ্নিত উদাহরণ। পোল্যান্ড সরকারের মুখপাত্র পেত্র মুলার মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তার দেয়া তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে না পারলেও তিনি বলেন, শীর্ষ নেতারা সঙ্কট পরিস্থিতির কারণে জরুরি বৈঠক করছেন। পোলিশ মিডিয়া জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী পোলিশ গ্রাম প্রজেওডোতে শস্য শুকানোর একটি এলাকায় একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের পর দুইজন মারা গেছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রতিবেশী মলদোভাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির একজন কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র একটি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী লাইনে আঘাত হেনেছে। এতে বিদ্যু বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে মলদোভার একটি অংশ। আরও পড়ুন: ইউক্রেনের রাজধানীতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া কমপক্ষে ৮৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার বেশিরভাগই দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে এবং এতে অনেক শহরে অন্ধকার নেমে এসেছে। ইউক্রেনের একজন মন্ত্রী রাশিয়ার সামরিক ও কূটনৈতিক বিপর্যয়ের পর ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে প্রতিশোধের আরেকটি প্রচেষ্টা হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, শীতের প্রাক্কালে আমাদের শক্তি ব্যবস্থার সর্বাধিক ক্ষতি করার চেষ্টা করছে রাশিয়া। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। কিয়েভ মেয়র ভিটালি ক্লিৎসকো এ হামলার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজধানী শহর লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এদিকে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী জি-২০ সম্মেলন। সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে ইউক্রেন সংঘাত। রুশ অভিযানের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব সংঘাত নিরসনের আহ্বান জানাচ্ছেন নেতারা। আরও পড়ুন: যুদ্ধ এখনই বন্ধ করতে হবে: জেলেনস্কি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। মোকাবিলায় প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করে ইউক্রেন। এরপর প্রায় নয় মাস ধরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার কাছ থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর দক্ষিণের বন্দরনগরী খেরসন পুনরুদ্ধারের পর প্রথমবারের জন্য কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো রুশ বাহিনী। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনমতে, রাজধানী কিয়েভ ছাড়াও ইউক্রেনের অন্যান্য শহরে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। কিয়েভ ছাড়াও ইউক্রেনের দক্ষিণে খমেলনিটস্কি ও ক্রিভি রিহ এবং উত্তরে চেরনিহিভ এলাকায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ক্রিভি রিহের গভর্নর বলেছেন, একটি রুশ টু-৯৫ বোমারুবিমান থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে হামলার পর কিয়েভের একটি আবাসিক ভবন থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই এক ভিডিওবার্তায় জি-২০ সম্মেলনে রাশিয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার আগ্রাসন শেষ করার এখনই সময়