Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » ‘বাজার হয়া গেছে বান্দরের দাঁড়িপাল্লার মতো’




‘বাজার হয়া গেছে বান্দরের দাঁড়িপাল্লার মতো’ ‘ঈশপের এক গল্প পড়ছিলেন না- দুই বিলাই বান্দরের কাছে যায় রুটি ভাগ করতে। বান্দরের দাঁড়িপাল্লায় এক দিকে ওজন বাড়ে তো আরেক দিকে কমে। বাজারের দশা হইছে এমন’- আক্ষেপ নিয়ে বলছিলেন দিনমজুর মনসুর আলি।

কোনোভাবেই যেন দামের দাঁড়িপাল্লার মানদণ্ড সমান হচ্ছে না। এক পণ্যের দাম কমে তো আরেক পণ্যের দাম বাড়ে। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে মুরগি ও ডিমের দাম কমলেও বেড়ে গেছে চাল, ডাল, চিনি, তেল ও আটার দাম। বাজারে ১৪০ টাকা ডজনের ডিম ১৩০ টাকা ও ৩২০ টাকা কেজির সোনালি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকায় নামলেও চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২-৪ টাকা। বাজারে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকায়, মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৭২-৭৪ টাকা ও প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৮২ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা চিনির দাম বাড়িয়ে ১০২ টাকা করা হলেও বেশিরভাগ দোকানে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়। এছাড়া অনেক দোকানেই নেই প্যাকেটজাত সাদা চিনি। কিছু দোকানে প্যাকেটজাত লাল চিনি পাওয়া গেলেও সেগুলো কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। চিনির পাশাপাশি সয়াবিন তেলের দামও বেড়ে গেছে। বর্তমানে বাজারে নতুন বোতলের সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা লিটার। পাঁচ কেজি সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯২৫ টাকায়। চাল-চিনির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আটা-ময়দার দাম। প্রতি কেজি আটায় দাম বেড়েছে ৪ টাকা, আর ময়দায় বেড়েছে ১০ টাকা করে। দাম বেড়ে প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭২ টাকায় ও ময়দা ৮০ টাকায়। এসব পণ্যের দাম বাড়তি কেন জানতে চাইলে উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারের মুদি দোকানদার শরফত মণ্ডল সময় সংবাদকে বলেন, ‘এগুলা তো বিদেশ থেইক্যা আমদানি কইরা আনোন লাগে সরকারের। ডলারের দাম বেশি তাই জিনিসের দাম চড়া। বেশি দামে বেইচ্যা এমন না আমাগো অনেক লাভ হইতাছে। উল্টা দাম বাড়ায় বেচা-বিক্রি কইমা গেছে। আগে যেখানে লোকে আইসা ৫০ কেজির চাউলের বস্তা নিয়া যাইতো, এখন তারা ১০ কেজির উপরে চাউল কেনে না।” বাজারদর নিয়ে সময় সংবাদের সঙ্গে কথা হয় কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে। এদের মধ্যে জিল্লুর ব্যাপারি বলেন, ‘আগে গেছিলাম মুরগি কিনতে, দাম শুইন্যা খুশি হইয়া ভাবলাম যাক কমলো তাইলে। কিন্তু চাউল-ডাইলের দাম শুইন্যা আবার মাথায় হাত। একটার দাম বাড়ে, একটার কমে।’ মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। পেঁয়াজের পাশাপাশি কমেছে রসুন ও আদার দামও। দোকানভেদে আদা কেজিপ্রতি ১৯০-২১০ টাকা ও রসুন ৯০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে শীতের সবজি আগের সপ্তাহ থেকে আসতে শুরু করলেও দাম ছিল চড়া। তবে শুক্রবার রামপুরা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের সবজির দাম কিছুটা কমে এসেছে। প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৩৫ টাকা, শিম ৫০ টাকা ও বেগুন ৫০ টাকা কেজিদরে। তবে বাজারে এখনো গাজর ও টমেটোর দাম চড়া। এ দুটি সবজি গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও ১০০-১২০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। সবজির দাম নিয়ে ক্রেতা তোরাব শেখ সময় সংবাদকে বলেন, ‘দাম যে খুব কমছে এমন না। ৫-১০ টাকা দাম কমছে। তবে ভালো সবজি উঠতেছে। আগের সপ্তাহে যেসব ফুলকপি উঠছিল তা জাতের না। আজকে বাজারে এসে দেখি সাইজে ফুলকপি বড় হইছে আর দেখতেও ফ্রেশ।’






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply