Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা রেজুলেশন গৃহীত




জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা রেজুলেশন গৃহীত ফাইল ছবি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রথমবারের মতো ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (১৭ নভেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রেজুলেশনটি যৌথভাবে উত্থাপন করে ওআইসি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এবারের রেজুলেশনটিতে ১০৯টি দেশ সহ-পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেছে যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রেজুলেশনে প্রাথমিকভাবে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর যা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আরও অবনতির শিকার হয়েছে। এতে রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ খুঁজে বের করা, রাখাইন রাজ্যে স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতসহ জাতিসংঘের সব মানবাধিকার ব্যবস্থাপনাকে পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করার বিষয়ে আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে সর্বসম্মতিক্রমে আসিয়ান গৃহীত ৫ দফা সুপারিশের দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরত্বারোপ করা হয়েছে এতে। চলমান বিচার ও দায়বদ্ধতা নিরূপণ প্রক্রিয়ার ওপর রেজুলেশনে সজাগ দৃষ্টি বজায় রাখার কথাও বলা হয়। এতে মিয়ানমারে নবনিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং মিয়ানমারকে সম্পৃক্ত করে তার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের কথাও বলা হয়েছে। রাখাইন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে মিয়ানমার, ইউএনএইচসিআর এবং ইউএনডিপি এর মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারকটি নবায়ন ও এর কার্যকর বাস্তবায়ন করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে রেজুলেশনটিতে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক বিবেচনায় ২০১৭ সালে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে রোহিঙ্গাদের স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে মিয়ানমার ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। রেজুলেশনটি গৃহীত হওয়ার সময় প্রদত্ত বক্তব্যে বাংলাদেশের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রত্যাবর্তনের আগ পর্যন্ত ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংহতি পাওয়ার দাবি রাখে। এই মানবিক সাড়াদান প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত অর্থায়ন। গুরুত্বপূর্ণ এই মানবাধিকার ইস্যুতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ওআইসি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘমেয়াদী উপস্থিতির অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা মানবিক বিবেচনায় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলাম, ব্যস্তচ্যুত এ জনগোষ্ঠীর সবসময়ই মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। সে লক্ষ্যে আমরা দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় ফ্রন্টে বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছি, যাতে মিয়ানমারে নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবর্তন উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়’। নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের প্রেস উইং জানায়, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদান এবং জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ যে উদারতা ও মানবিকতা প্রদর্শন করেছে, রেজুলেশনটিতে তার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। কক্সবাজারের অত্যন্ত জনাকীর্ণ আশ্রয় ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে ভাষানচরে স্থানান্তর এবং এ লক্ষ্যে এখানে অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তৈরি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার যে প্রচেষ্টা ও বিনিয়োগ করেছে তারও স্বীকৃতি দেওয়া হয় রেজুলেশনে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরকে স্বাগত জানানো হয়। জাতিসংঘের এ রেজুলেশনটি রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি বিভিন্ন অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংহতি প্রকাশের একটি অনন্য উদাহরণ। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে মিয়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে যার ফলে বিলম্বিত হচ্ছে রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। এহেন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে রেজুলেশনটি জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করতে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply