যুক্তরাষ্ট্রে চীনের গোপন পুলিশ স্টেশন, উদ্বিগ্ন এফবিআই
যুক্তরাষ্ট্রে চীনা 'পুলিশ স্টেশন' নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে এফবিআই। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এফবিআই প্রধান ক্রিস্টোফার রে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের কাছে এই উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন। তবে চীন বিদেশে এ ধরনের পুলিশ স্টেশন পরিচালনার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইউরোপভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সেফগার্ড ডিফেন্ডার্স সেপ্টেম্বরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, নিউইয়র্কসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে চীনা পুলিশের 'সার্ভিস স্টেশন' রয়েছে। এসব দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ডের মতো শিল্পোন্নত ও ধনী দেশের পাশাপাশি রয়েছে নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়ার মতো সংঘাতপূর্ণ দরিদ্র বিভিন্ন দেশও। তবে গোপন এসব স্টেশনের তথ্য চীনের সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছাড়া খুব কম মানুষই জানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২১টি দেশে ৫৪টি বৈদেশিক পুলিশ সেবা কেন্দ্র খুলেছে চীন, যেখানে রয়েছে নিউইয়র্কের নামও। এ সম্পর্কে বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে জবাব চেয়েছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের রিপাবলিকান নেতারা। বিরোধী এই আইনপ্রণেতারা চীনা এসব পুলিশ স্টেশনের প্রভাব সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের কাছ থেকে উত্তর দাবি করেন।
এসব আইনপ্রণেতার যুক্তি, চীনের এসব গোপন পুলিশ স্টেশন চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিন বাসিন্দাদের ভয় দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভাইরাল ভিডিও নিয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, এসব পুলিশ ইউনিট দমনাভিযান চালাচ্ছে। বিশেষ করে চীনের শাসনের বিরুদ্ধে কথা বলছে এমন কাউকে সন্দেহ হলে তাকে দেশে ফিরতে জবরদস্তি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাসের মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এবার এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন। মার্কিন সিনেটের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড গভর্নমেন্টাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির শুনানিতে রে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও এফবিআইয়ের অনুসন্ধান কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এফবিআই প্রধান বলেন, নিউইয়র্কে চীনা পুলিশ যথাযথ সমন্বয় ছাড়াই নিজেদের স্টেশন গড়ে তোলার যে চেষ্টা করছে, তা আপত্তিকর। বিষয়টির আইনগত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় মুখোমুখি মোদি-জিনপিং
রে বলেন, ‘আমার কাছে, এটা ভাবা বেশ আপত্তিজনক যে, যথাযথ সমন্বয় ছাড়াই চীনা পুলিশ নিউইয়র্কে তাদের ঘাঁটি স্থাপনের চেষ্টা করবে। এটি সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে এবং মানসম্মত বিচারিক ও আইন প্রয়োগকারী কর্মকাণ্ডের প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়।’
তবে চীন বিদেশে এ ধরনের পুলিশ স্টেশন পরিচালনার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
Tag: English News lid news others world
No comments: