সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক বিবেচনাধীন: ব্লিনকেন নানা কারণে বিভিন্ন সময়ে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। বিশেষ করে সাংবাদিক খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর সম্পর্ক খুব নাজুক অবস্থানে পৌছায়। মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম ও তেলসমৃদ্ধ দেশটির সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রটির সম্পর্ক কেমন হবে- তা এখনও বিবেচনাধীন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। খবর রয়টার্সের।
কাতারের রাজধানী দোহায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সঙ্গে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন। সংবাদ সম্মেলনে সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ব্লিনকেন বলেন, ‘এ ব্যাপারটি এখনও বিবেচনাধীনে রয়েছে। আমরা পর্যালোচনা করছি।’ ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর সৌদি যুবরাজের বিভিন্ন নীতির কড়া সমালোচনা করা সাংবাদিক জামাল খাশোগি তার বাগদত্তা, তুর্কি নাগরিক হেতিস চেঙ্গিসকে বিয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে খুন হন। পরে জানা যায়, তাকে কনস্যুলেটের ভেতরেই হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই খুনের আদেশ স্বয়ং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দিয়েছেন বলে তাদের বিশ্বাস। সিআইএ এই দাবি করার পর তুরস্কের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাতে সমর্থন জানিয়ে বলেন, এটি সত্য যে খাশোগিকে এজেন্টরাই হত্যা করেছে, কিন্তু এই হত্যার নির্দেশ এসেছিল সৌদি সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে। আরও পড়ুন: খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজকে দায়ী করলেন বাইডেন খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভাবমূর্তি নষ্ট হয় সৌদি যুবরাজের। খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর সৌদি যুবরাজ বলেছিলেন, তিনি এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন তবে পরে তিনি স্বীকার করেন, তার অধীনে থাকা লোকজনই এ ঘটনার জন্য দায়ী। যুক্তরাষ্ট্রে খাশোগি হত্যাকাণ্ডে যুবরাজের সম্পৃক্ততা সংশ্লিষ্ট একটি মামলা চলছে। খাসোগির প্রতিষ্ঠিত একটি মানবাধিকার সংগঠন ও হেতিস চেঙ্গিস যৌথভাবে মামলাটি পরিচালনা করছে। মামলায় পশ্চিমা দেশগুলোতে এমবিএস নামে পরিচিত মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছে অনির্দিষ্ট পরিমাণ ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: সৌদি যুবরাজকে যুক্তরাষ্ট্রের দায়মুক্তি খাশোগি হত্যাকাণ্ডের মামলায় সালমানসহ আরও ২০ জনের অধিক সৌদি নাগরিককে আসামি করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, খাশোগি তার মানবাধিকার সংস্থাকে সৌদি আরবে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার প্ল্যাটফর্ম’ হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছেন জানতে পেরে এমবিএস ও বাকি আসামিরা ‘খাশোগিকে চিরতরে চুপ করে দেয়ার’ ছক কষেন। সম্প্রতি ওয়াশিংটন জানিয়েছে, মামলার আসামির তালিকা থেকে যুবরাজের নাম কেটে দেয়া হবে। এ সম্পর্কে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন, যেহেতু মোহাম্মদ বিন সালমান এখন সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী, তাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে তার বিচার সম্ভব নয়।Slider
বিশ্ব
জাতীয়
সাম্প্রতিক খবর
খেলাধুলা
বিনোদন
ফিচার
mujib
w
যাবতীয় খবর
জিওগ্রাফিক্যাল
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: