Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » আদালতে ন্যায়বিচার চাইলেন জয়




অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগের মামলায় আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। রোববার (১৩ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে হাজির হয়ে বিচার চান তিনি। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন জয়। এ মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাক্ষ্যতে জয় বলেছেন, ‌‘দেশে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের নেতারা আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রেও মামলা হয়েছে। সেখানে এফবিআইয়ের এজেন্ট রবার্ট লাক্টিটসহ কয়েকজনের শাস্তি হয়েছে।’ পিপি আব্দুল্লাহ আবু বলেন, আমেরিকার মামলায়ও সজীব ওয়াজেদ জয় সাক্ষ্য দিয়েছেন। বাংলাদেশে সাংবাদিক শফিক রেহমানের বাসায় তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। বিভিন্ন কাগজপত্র শফিক রেহমানের বাসা থেকে জব্দ করা হয়েছে। আদালতে জয় ন্যায়বিচার চেয়েছেন। শফিক রেহমান ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মামুন বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। পরিবার নিয়ে কানেটিকাটের ফেয়ারফিল্ড কাউন্টিতে বসবাস করেন তিনি। সজীব ওয়াজেদ জয় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায়। তার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সংরক্ষিত গোপন তথ্য পেতে এফবিআইএর এক কর্মকর্তাকে ঘুষ দেয়ার অপরাধে ২০১৫ সালের ৪ মার্চ মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় নিউ ইয়র্কের একটি আদালত। সিজার আদালতের রায়ে কারাগারে যাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়। এরপর জয় ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, ‘আমাকে যখন কেউ হত্যার চেষ্টা করছে, সেটিও আমি খুবই ব্যক্তিগত ব্যাপার হিসেবে নিচ্ছি। যারা এর জন্য দায়ী, তারা বিএনপির যত উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বই হোক না কেন, আমি তাদের হদিস বের করে বিচারের মুখোমুখি করব।’ https://d2u0ktu8omkpf6.cloudfront.net/2234523f72e7a6971de80e54a5da068e58224110bc3b0cdf.jpg যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের নথিতে দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলের ক্ষতি করার জন্য তার ব্যক্তিগত তথ্য পেতে সিজার এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দিয়েছিলেন। ঘুষ দিয়ে তথ্য পাওয়ার পর সিজার তা বাংলাদেশি এক সাংবাদিককে সরবরাহ করেছিলেন এবং বিনিময়ে প্রায় ৩০ হাজার ডলার পেয়েছিলেন বলেও নথিতে উল্লেখ করা হয়। ওই রায়ের পর জয়কে অপহরণের চক্রান্তের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩ অগাস্ট গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০৭ ও ১২০ (বি) ধারায় ঢাকার পল্টন থানায় এই মামলা করেন। সেখানে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের আগে মামুনসহ বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার একত্রিত হয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। ২০১৬ সালের এপ্রিলে শফিক রেহমানকে তার ইস্কাটনের বাসা থেকে আটকের পর ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। সে সময় দুই দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। ইস্কাটনে তার বাসায় তল্লাশি চালানোর পর গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, জয় সংক্রান্ত ‘কিছু তথ্য ও গোপনীয় নথিপত্র’ সেখানে পাওয়া গেছে। অন্যদিকে শফিক রেহমানের স্ত্রী তালেয়া রেহমান সে সময় দাবি করেছিলেন, ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিক’ হিসেবে নিবন্ধ লেখার জন্যই তার স্বামী ওই তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন। পাঁচ মাস কারাগারে থাকার পর সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে মুক্তি পান যায়যায়দিনের সাবেক এ সম্পাদক। পরে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান। এ মামলার অপর আসামি খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান রাষ্ট্রদ্রোহের এক মামলায় ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল ঢাকার কারওয়ান বাজারে আমার দেশ কার্যালয় থেকে গ্রেফতার হন। পরে কারাবান্দি অবস্থায় ২০১৬ সালের এপ্রিলে তাকে জয়কে অপহরণ ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম সে সময় বলেছিলেন, মাহমুদুর রহমান একজন মানুষের (জয়) গতিবিধি, তার কর্মক্ষেত্র, পরিবারের সদস্যরা কখন কোথায় কী করছে এই সংক্রান্ত প্রাথমিক তথ্য পেয়েছিলেন মিল্টনের (সিজারের বন্ধু মিজানুর রহমান ভূঁইয়া) কাছ থেকে। এটি একজন মানুষকে অপহরণ করার জন্য যথেষ্ট। সিজার তার বন্ধু মিল্টন ভূঁইয়ার মাধ্যমে ওই সব তথ্য ঢাকায় মাহমুদুরকে পাঠিয়েছিলেন বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সে সময় জানিয়েছিলেন। সাড়ে তিন বছর জেলে থাকার পর ২০১৬ সালের নভেম্বরে মাহমুদুর রহমান জামিনে মুক্তি পান। পরে তিনিও দেশের বাইরে চলে যান। তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার হাসান আরাফাত ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরে আদালত অভিযোগ গঠনের শুনানি করে আসামিদের বিচার শুরুর সিদ্ধান্ত দেয়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply