মেহেরপুরে আপত্তিকর ছবি দেখিয়ে চাঁদাবাজি নারীসহ হোটেল মালিক পিতা-পুত্র আটক।
মঙ্গলবার রাতে হোটেল আটলান্টিকায় পুলিশের অভিযানে মেহেরপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন, তারপর ব্ল্যাকমেইল করে চাঁদা আদাঁয়। এমন অভিযোগে মেহেরপুর শহরের অভিজাত শ্রেণীর আবাসিক হোটেলের মালিক, ছেলে ও এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ঐ আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকৃতরা হলো, মেহেরপুর পৌর এলাকার শহরের শিশুবাগান পাড়ার মৃত কিয়ামুদ্দীনের ছেলে হোটেল আটলান্টিকার মালিক মতিয়ার রহমান (৫২) তার ছেলে মামুন (৩০) ও সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী ছন্দা খাতুন(৩০)। তাদের বুধবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামর জানান, শহরের অভিজাত শ্রেণীর আবাসিক হোটেল আটলান্টিকা। এই হোটেল ব্যবসার পাশপাশি একটি নারী চক্র গড়ে তোলে। যার নেতৃত্বে ছিলো আটলান্টিকার মালিক মতিয়ার রহমান ও তার ছেলে মামুন। বিভিন্ন ব্যবসায়ী সরকারি কর্মকর্তা বা অভিজাত শ্রেণির মানুষকে সুন্দরী নারী দিয়ে প্রথমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। কিছু দিনের মধ্যেই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তারা হোটেলেই এসকল কার্যক্রমের গোপনে ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইল করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো। এই চক্রের বিভিন্ন এলাকার প্রায় এক ডজন সুন্দরী নারী রয়েছে বলে তারা পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয়। কৌশলে সমাজের ধর্নাঢ্য ব্যক্তিদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে হোটেল আটলান্টিকায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে গোপন ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করতো। পরে সেই ভিডিও নিয়ে চাওয়া হয় মোটা অংকের টাকা।
সম্প্রতি সময়ে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের মনোয়ার হোসেন নামের এক এনজিও কর্মীর সদর থানায় নারী চক্রের প্রধান হোতা চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ গ্রামের নাজমুল হোসেন খানের মেয়ে কথিত সাংবাদিক নাজনিন খান প্রিয়াকে আসামি করে প্যানাল কোড ৪১৭/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারায় একটি মামলা করেন (মামলা নং ৩২, তারিখ ২২/১১/২০২২ইং)। মামলা দেওয়া পর পুলিশ বিভাগ নড়ে চড়ে বসেন। শুরু হয় গোপন তথ্য সংগ্রহের কাজ।।
গত ২২ নভেম্বর ব্লাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার মূল হোতা নাজনীন খান প্রিয়াকে ২ দিনের রিমান্ড নিলে বেরিয়ে আসে এই চক্রের ভয়ংকর সব তথ্য।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছেন, নাজনীন খান প্রিয়ার দলে ৯ জন সুন্দরী নারী আছেন।
অভিযানে নেতৃত্বে ছিলেন তদন্ত অফিসার মেজবাহ উদ্দীন আহমেদসহ সদর ও ডিবি পুলিশের একটি দল।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ চক্রের বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
Tag: Zilla News
No comments: