Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » মেহেরপুরের বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক রইসউদ্দিন শেখ ফইম




স্টাফ রিপোর্টারঃ মেহেরপুরের বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক রইসউদ্দিন শেখ ফইম। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মেহেরপুর শহর সংগ্রাম কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। তোজাম্মেল আযমের ‘মেহেরপুর জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য’, সৈয়দ আমিনুল ইসলামের ‘মেহেরপুরের ইতিহাস’ ও রফিকুর রশীদের ‘মেহেরপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ গ্রন্থে রইসউদ্দিন শেখ ফইম-এর নাম উল্লেখ রয়েছে। তোজাম্মেল আযমের ‘মেহেরপুর জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য’-গ্রন্থে লেখা হয়েছে (৩১ পৃষ্ঠা) ‘মেহেরপুর শহর কমিটিতে ছিলেন ডাক্তার আব্দুল্লাহ, নঈম উদ্দিন শেখ, ফইমউদ্দিন শেখ, মানিক মিঞা, ফাকের আলী, সিরাজুল ইসলাম, আতাউল হাকিম, মোজাম্মেল হক ও শাহজাহান খান বিশু। প্রয়াত রইসউদ্দিন শেখ ফইম-এর বড় ভাই নঈম উদ্দিন শেখ মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে মেহেরপুর মহকুমা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মিটিং রইসউদ্দিন শেখ ফইম-এর বাড়ির ছাদে অনুষ্ঠিত হতো। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে রইসউদ্দিন শেখ ফইম ভারতের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজখবর রাখেন। তার বড় ভাই নঈম উদ্দিন শেখ বেতাই ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন করেন এবং বড় আন্দুলিয়া পরিবার নিয়ে থাকেন। রইসউদ্দিন শেখ ফইম মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারতে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরে মেহেরপুরের গাংনীর আজান গ্রামে আত্মগোপন করে থাকেন। দেশ স্বাধীনের আগে ও পরে তিনি মেহেরপুর শহরে ব্যবসায়ে জড়িত ছিলেন। মেহেরপুর হোটেল বাজার মোড়ে তার একটি রেশনের দোকান ছিল। তিনি ২০০০সালের ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল মেহেরপুর সদর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। রইসউদ্দিন শেখ ফইমের পিতা প্রয়াত রহেল শেখ বৃটিশ আমলে প্রভাবশালী কাঠ ব্যবসায়ী ছিলেন। মা রইজান বেগম মেহেরপুরের গাংনীর আজান গ্রামে বিশাল ভূসম্পত্তির মালিক ছিলেন। তার দুই ছেলে ও চার মেয়ে। স্ত্রী রওশন আরা বেগম ১৯৯২ সালের ১৪ আগস্ট মেহেরপুরে ইন্তেকাল করেন।বড় ছেলে সাংবাদিক-লেখক মুহম্মদ রবীউল আলম ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক মুক্তিবাণীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং ছোট ছেলে বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। চার মেয়ে বিলকিস বানু বিউটি, সাহার বানু রেহেনা ও ছোট মেয়ে তহমিনা আজাদ বলাকা মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায় স্বামী সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। এক মেয়ে সাহিনা বেগম সেহেনা সম্প্রতি ইন্তেকাল করেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply