রাশিয়া-ইউক্রেন খাদ্য চুক্তি নিয়ে আবারও উদ্বেগ

কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো দিয়ে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রফতানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। খাদ্যপণ্যবাহী জাহাজের নজরদারি জয়েন্ট কোঅর্ডিনেশন সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর গার্ডিয়ানের। গত বছরের জুলাইয়ে তুরস্ক ও জাতিসংঘের প্রচেষ্টায় রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে বন্দরগুলো দিয়ে শস্য রফতানি চুক্তি সম্পন্ন হয়। রয়টার্সের ফাইল ছবি গত বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনের বন্দরগুলো দিয়ে শস্য রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। জুলাইয়ে তুরস্ক ও জাতিসংঘের প্রচেষ্টায় রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে বন্দরগুলো দিয়ে শস্য রফতানি চুক্তি সম্পন্ন হয়। তবে, কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার জাহাজে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার জেরে খাদ্যশস্য চুক্তি থেকে সরে আসে মস্কো। পরে, আবারও নভেম্বরে জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় চুক্তিতে ফিরে আসে রাশিয়া। ইস্তাম্বুলে জাতিসংঘ, রাশিয়া, ইউক্রেন ও তুরস্কের প্রতিনিধিরা যৌথভাবে জয়েন্ট কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের অধীনে খাদ্যপণ্যবাহী জাহাজে নজরদারি করে থাকে। এই সেন্টারে জাতিসংঘসহ তিন দেশের পরিদর্শক রয়েছেন। সম্প্রতি, কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো দিয়ে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রফতানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে বলে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়। আরও পড়ুন: আকস্মিক সফরে কিয়েভে বাইডেন বলা হয়, গত ডিসেম্বরে ইউক্রেনের বন্দরগুলো থেকে ৩৭ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যপণ্য রফতানি করা হলেও তা জানুয়ারিতে ৩০ লাখ টনে নেমে এসেছে। যে পরিমাণ খাদ্যপণ্য রফতানি কমেছে, তা কেনিয়া ও সোমালিয়ার মতো দেশের প্রায় এক মাসের খাদ্য খরচের সমান। আগামী মাসে আবার এই চুক্তি ফের নবায়ন করতে হবে। এরমধ্যেই ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলার বর্ষপূর্তি পালিত হবে। এ পরিস্থিতিতে খাদ্য চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। আরও পড়ুন: রাশিয়াকে অস্ত্র-গোলাবারুদ দিতে পারে চীন: যুক্তরাষ্ট্র খাদ্যপণ্য রফতানি কমে যাওয়ায় ইউক্রেন সরকার রাশিয়াকে দোষারোপ করেছে। তাদের অভিযোগ, রাশিয়ার পরিদর্শকেরা ইচ্ছাকৃতভাবে পরিদর্শন বিলম্বিত করে থাকেন। এর মাধ্যমে তারা কৃষ্ণসাগরের নিজস্ব বন্দর থেকে নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্য সুবিধা ভোগ করছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। তারা বলছে, অভিযোগ সত্য নয়।