Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » বিবিসির অফিসে হঠাৎ তল্লাশি কেন




ভারতে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (বিবিসি) স্থানীয় দুটি অফিসে একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় আয়কর দফতরের গোয়েন্দা সংস্থা। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিবিসির দিল্লি ও মুম্বাইয়ের কার্যালয়ে গিয়ে ব্যাপক তল্লাশি চালান সংস্থার কর্মকর্তারা। এ খবর মুহূর্তের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক ও সমালোচনার ঝড়। প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ কেন বিবিসির অফিসে তল্লাশি? সম্প্রতি বিবিসির দুই পর্বের একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের সঙ্গে এ তল্লাশির যোগ রয়েছে কিনা উঠছে সে প্রশ্নও। সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নামে দুই পর্বের একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করে বিবিসি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি জানায়, গুজরাটে ২০০২ সালে মুসলিম-বিরোধী দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা ঘিরে ওই তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছিল। তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তথ্যচিত্রটি ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তথ্যচিত্রটি তুলে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। টুইটার, ইউটিউবকেও এ সংক্রান্ত টুইট ও ভিডিও মুছে ফেলতে বলা হয়। এ নিয়ে ভারতজুড়ে রাজনৈতিক তোলপাড় শুরু হয়। বিরোধীরা সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করেই তথ্যচিত্রটির প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে বিভিন্ন জায়গায়। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে তথ্যচিত্রটি দেখান। তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ছাত্রছাত্রীরা। এমন পরিস্থিতির মধ্যে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তথ্যচিত্রের নির্মাতা বিবিসির দিল্লির ও মুম্বাইয়ের অফিসে অভিযান শুরু করেন আয়কর দফতরের কর্মকর্তারা। আরও পড়ুন: ভারতে বিবিসির কার্যালয়ে ‘অভিযান’, কর্মীদের ফোন জব্দ তল্লাশির সময় এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বিবিসি জানায়, তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ‘পূর্ণ সহযোগিতা’ করছে। আমরা আশা করছি, যত দ্রুত সম্ভব এই পরিস্থিতির সমাধান হয়ে যাবে। বিবিসির দুই অফিসে আয়কর বিভাগের তল্লাশিকে ‘অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী’ আখ্যা দিয়েছে ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন এডিটর্স গিল্ডও এই তল্লাশিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গণমাধ্যম বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে বিবিসির সাম্প্রতিক তথ্যচিত্রের কারণেই বিবিসির অফিসে অভিযানে গেছে সংস্থাটি। ভারতের সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন এডিটর্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়া একটি বড় বিবৃতি জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, আয়কর বিভাগের এই অভিযান এমন একটা সময়ে হলো- যখন বিবিসি ২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গার ওপরে নির্মিত দুই পর্বের একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তথ্যচিত্রটি নিয়ে যে রাজনৈতিক জলঘোলা হয়েছে, তার মধ্যে সরকার বিবিসির বিরুদ্ধে ভুল এবং পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ রিপোর্টিংয়ের অভিযোগ তুলেছে। তথ্যচিত্র দুটি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া এবং দেখার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তারা আরও বলেছে, সম্প্রতি একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, সরকারি নীতি বা ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করছে যে সব সংবাদমাধ্যম, তাদেরকেই সরকারি এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে। এই প্রবণতা সাংবিধানিক গণতন্ত্রের পরিপন্থী বলে মন্তব্য তাদের। আরও পড়ুন: ভারতে বিবিসিকে নিষিদ্ধের আবেদন খারিজ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে. সি. ভেনুগোপাল এক বিবৃতিতে বলেন, বিবিসির দফতরে আয়করের অভিযানের ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, মোদি সরকার সমালোচনাকে ভয় পাচ্ছে। আমরা ভীতিপ্রদর্শনের এই পদ্ধতিকে কড়া নিন্দা জানাচ্ছি। এটা অগণতান্ত্রিক এবং এই স্বৈরাচারী মনোভাব আর চলতে দেয়া যায় না। আরেক কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এক সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন, যখন আমরা আদানি গোষ্ঠীর ব্যাপারে যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবী জানাচ্ছি সংসদে, তখন সরকার বিবিসির পেছনে লেগেছে। একেই বলে বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি। মুখ খুলেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবও। তিনি বলেন, তাদের (বিজেপির) সময় শেষ হয়ে আসছে। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এক টুইটে বিজেপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেছেন ‘বিবিসির অফিসে যে আয়কর দফতর অভিযান চালিয়েছে, তা নিয়ে কেউ কেউ বিস্মিত। কিন্তু বিস্ময়ের সত্যিই কি কোনো কারণ আছে?’ সিপিএমের তরুণ সাংসদ জন ব্রিটাসের প্রশ্ন, ‘এটা কি সত্যিই প্রত্যাশিত ছিল না? ঋষি সুনাক (ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী) এবার কী বলেন, তার দিকে তাকিয়ে আছি।’ আরও পড়ুন: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ: যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা বিরোধী সমালোচনার পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপিও। বিবিসিকে বিশ্বের সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা বলে উল্লেখ করেছেন নেতারা। বিজেপির দাবি, বিবিসি ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা’। পাশাপাশি মোদি-শাহের দল এই প্রসঙ্গে কটাক্ষে বিঁধেছেন বিরোধী কংগ্রেসকেও। বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, ‘ভারতে যে সমস্ত সংস্থা বা সংগঠন কাজ করছে তাদের ভারতের আইনশৃঙ্খলা মেনে চলতেই হবে। বিবিসি যদি সমস্ত আইন মানে তা হলে ভয় কিসের? বিবিসি বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা। বিবিসির কার্যপ্রণালীর সঙ্গে কংগ্রেসের খুব মিল।’






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply