Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » নিথর স্ত্রী-সন্তানের পাশে জীবিত যে প্রাণ




বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ফটোগ্রাফার উমিত বেকতাসের তুলে আনা আব্দুলআলিম মুয়াইনির ছবিটি আলাদাভাবে নাড়া দিচ্ছে সবাইকে। তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পের ভয়াবহতা ও উদ্ধার কার্যক্রমের হাজারো ছবি তুলে আনছেন ফটোসাংবাদিকরা। প্রায় তিনদিন পরও জীব্তি ‘প্রাণ’ উদ্ধারের চিত্র উঠে আসছে। সে সঙ্গে আসছে মানবিক বিপর্যয়ের অনেক সচিত্র প্রতিবেদনও। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ফটোগ্রাফার উমিত বেকতাসের তুলে আনা আব্দুলআলিম মুয়াইনির ছবিটি আলাদাভাবে নাড়া দিচ্ছে সবাইকে। স্ত্রী-সন্তানদের মরদেহের পাশে নিজের নিরুপায় হয়ে বেঁচে থাকার যে যন্ত্রণা তা দেয়াল চাপা পড়ে আঘাত পাওয়ার চেয়ে বেশি যন্ত্রণার, ছবিটি হয়তো সে কথাই বলছে। রয়টার্সের ওই ফটোগ্রাফারের ছবির বর্ণনায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, হাতায়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে আছে একজনের নিথর দেহ। পাশেই হাত উঁচু করে সাহায্য প্রার্থনা করছেন এক ব্যক্তি। খবরে বলা হয়েছে, সিরিয়ান বংশোদ্ভূত আব্দুলআলিম গৃহযুদ্ধের কারণে সিরিয়া থেকে পালিয়ে তুরস্কে আসেন। তুরস্কে তিনি ইসরা নামে এক তুর্কি নারীকে বিয়ে করেন। তাদের মাহসেন ও বিসিরা নামে দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। ভূমিকম্পে দেয়ালের স্ল্যাব ধসে তার স্ত্রী মারা গেছে। আর স্ল্যাবে পা আটকে স্ত্রীর পাশেই উদ্ধারের অপেক্ষায় ছিলেন আব্দুলআলিম। জ্ঞান থাকলেও বাম চোখে আঘাত পাওয়ায় তা খুলতে কষ্ট হচ্ছে তার। উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে সে কথা বলেছে। ফটোগ্রাফার উমিত বেকতাস আব্দুলআলিমের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে না পারলেও তার দুই বন্ধু বিস্তারিত জানিয়ে বলেছেন, আব্দুলআলিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি পানিশূণ্যতায় ভুগছেন। তার চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে বাঁচানো যায়নি তার পরিবারকে। মাটিতে কম্বলে মোড়ানো আছে তিনটি দেহ- ইসরা, মাহসেন, বিসিরার। স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত তুরস্কে ১২ হাজার ৩৯১ জন এবং সিরিয়ায় ২ হাজার ৯৯২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে সব মিলিয়ে এখন মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৮৩ জনে






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply