Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » পাকিস্তানও কি ‘ঋণের ফাঁদে’ পড়বে?




শ্রীলঙ্কা স্মরণকালের ভয়াবহ আর্থিক সংকটে নিমজ্জিত হওয়ার পর থেকেই চীনের ‘ঋণের ফাঁদ’ নিয়ে শুরু হয় জোর আলোচনা। অভিযোগ ওঠে, অর্থসাহায্য দিয়ে বিভিন্ন দেশকে কার্যত নিজেদের ‘বশে’ নিয়ে আসতে চায় বেইজিং। পাকিস্তান ইতোমধ্যেই সেই ‘ফাঁদে’ পা দিয়ে রেখেছে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে’র নামে। এবার অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে চীনের কাছ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্য নিয়েছে দেশটি, যা নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করছেন কেউ কেউ। ছবি: সংগৃহীত সম্প্রতি চীনের কাছ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্য পেয়েছে পাকিস্তান। বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশটির অর্থমন্ত্রী জানান, স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানকে এই টাকা দিয়েছে চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। এজন্য ‘বিশেষ বন্ধু’ চীনকে ধন্যবাদ জানান পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এক নিরাপত্তা বৈঠকে তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগেই আমাদের এক বন্ধু রাষ্ট্র সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং আমাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েও দিয়েছে তারা। এই বিষয়টি কখনও ভোলা যাবে না।’ সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, গেল সপ্তাহে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারে রেকর্ড পতন ঘটেছিল। তাদের রিজার্ভে ছিল মাত্র ২.৯ বিলিয়ন ডলার। তবে এখন সেই রিজার্ভ বেড়ে চার বিলিয়ন ডলার হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ কি এই সাহায্যে পাকিস্তানের মূল সমস্যার সমাধান হবে? নাকি শুধুমাত্র চীনের ‘আনুগত্য’ স্বীকার করতে বাধ্য হবে ইসলামাবাদ? আরও পড়ুন: ক্রমান্বয়ে খারাপের দিকে যাচ্ছে পাকিস্তানের অর্থনীতি এদিকে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছেও সাহায্য চেয়েছে শাহবাজ সরকার। তবে চীনা সাহায্য পেয়ে কিছুটা চাঙা পাক সরকারের মনোবল। দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে সম্প্রতি মিনি বাজেটও পেশ করেছে পাকিস্তান। এতে আইএমএফের শর্ত মানতে আমজনতার ওপর করের বোঝা চাপিয়েছে দেশটির সরকার। বাড়ানো হয়েছে পেট্রল, ডিজেলের দাম। এরই মধ্যে মন্ত্রী ও সরকারি পরামর্শদাতাদের ভাতা ও যাতায়াতের খরচে কাটছাঁট করা হবে বলে জানিয়েছেন শাহবাজ শরিফ। পাক মন্ত্রীদের দামি গাড়ি ব্যবহার, বিদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমানের বিজনেস ক্লাসের টিকিট কাটার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে আইএমএফের কাছ থেকে এক বিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্য চেয়েছে পাকিস্তান। তবে এ সংক্রান্ত চুক্তি এখনও কার্যকর হয়নি। আইএমএফের শর্ত মানার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। তবে এসব শর্ত নিয়ে যে পাক সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে, তা বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। চলতি সপ্তাহেই পাকিস্তানের সঙ্গে আইএমএফের চুক্তি নিয়ে আলোচনা শেষ হওয়ার কথা। এরপরই আইএমএফ সিদ্ধান্ত নেবে যে পাকিস্তানকে ঋণ দেয়া হবে কি না।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply