চীনকে ঠেকাতে সলোমনে ফের দূতাবাস চালু যুক্তরাষ্ট্রের

চীনের আধিপত্য রুখতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র সলোমন দ্বীপপুঞ্জে ৩০ বছর পর আবারও দূতাবাস স্থাপন করল যুক্তরাষ্ট্র। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সলোমনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর বিবিসির। ৩০ বছর পর সলোমন দ্বীপপুঞ্জে ফের যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস চালু। ছবি: সংগৃহীত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সলোমনের রাজধানী হোনিয়ারায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস চালুর বিষয়টিকে স্বাগত জানানো হয়েছে। ওশেনিয়া অঞ্চলে ক্রমশ চীনের প্রভাব বাড়তে থাকায় অঞ্চলটিতে নিজেদের উপস্থিতি জোরদার করল ওয়াশিংটন। নতুন দূতাবাস চালু করতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় মার্কিন কংগ্রেস। ৩০ বছর আগে সলোমনের রাজধানী হোনিয়ারায় কূটনৈতিক উপস্থিতি কমিয়ে দেয় ওয়াশিংটন। আরও পড়ুন: চীনে মার্কিন প্রযুক্তি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা পাপুয়া নিউ গিনির দক্ষিণ-পূর্বে বেশ কয়েকটি বড় আগ্নেয় দ্বীপ নিয়ে গঠিত দ্বীপপুঞ্জের দেশ সলোমন। গেল বছর সলোমনের প্রতিবেশী দেশ ফিজি সফরে গিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে নতুন একটি দূতাবাস খোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের। এর আগে, ১৯৯৩ সালে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ থেকে দূতাবাস গুটিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে, বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী যেসব দেশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত, সেটিকে লক্ষ্য করে বেইজিংয়ের ওপর নজর রেখেই প্রতিটি পদক্ষেপ হাতে নিচ্ছে ওয়াশিংটন। আরও পড়ুন: জাপানি জাহাজকে ধাওয়া দিল চীনা কোস্টগার্ড এর আগে, ২০১৯ সালে চীনের সঙ্গে সলোমনের একটি নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ঐ চুক্তির মধ্য দিয়ে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা সেনাবাহিনীকে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়েছে বলে শঙ্কা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। পরবর্তীতে সলোমনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে তৎপরতা বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র।