তুরস্ক-সিরিয়ায় মরদেহ উদ্ধার ২৮ হাজার ছাড়াল

তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর পেরিয়ে গেছে ৬ দিন। সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় বাড়ছে সহিংসতা ও অপরাধপ্রবণতা। উদ্ধারকারীরা সতর্ক করেছেন, এমনটা চলতে থাকলে চাপা পড়াদের জীবিত উদ্ধারের কোনো সম্ভাবনাই আর থাকবে না। এদিকে, তুরস্ক ও সিরিয়া দুই দেশ মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৮ হাজার। স তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত অক্তাই স্থানীয় সময় শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছেন, তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৬১৭ জনে। যা দেশটিতে অতীতে সংঘটিত ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যার সর্বোচ্চ রেকর্ড বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। বাকিরা নিহত হয়েছেন তুরস্কের প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায়। এর আগে, ১৯৯৯ সালে তুরস্কে সংঘটিত ৭ দশমিক ৪ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। আরও পড়ুন: ১২৮ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার ২ মাস বয়সী শিশু এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে ভূমিকম্প কবলিত এলাকাগুলোতে। ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক সহিংসত। অজ্ঞাতনামা গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সহিংসতার কারণে, জার্মান উদ্ধারকর্মী এবং অস্ট্রিয়ার সেনাসদস্যরা তাদের তৎপরতা বন্ধ করে দিয়েছেন। অস্ট্রিয়ার সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, হাতায় প্রদেশে অজ্ঞাতামা গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ফলে ‘অস্ট্রিয়ান ফোর্সেস ডিজাস্টার রিলিফ ইউনিটের’ কয়েক ডজন কর্মী অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে একটি বেস ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। তারা উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ করে দিয়েছে। অস্ট্রিয়ার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লে. কর্নেল পিয়েরে কুগেলওয়াইজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় বিভিন্ন গোত্র-উপগোত্রের মধ্যে সহিংসতা ক্রমেই বাড়ছে। এই অবস্থায় নিজেদের জীবন বিপন্ন করে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’