Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » দেশে দেশে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানের, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য




গণতান্ত্রিক দেশগুলোই মূলত প্রধান টার্গেট। প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসংখ্য ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। এরপর সময় মতো বিশাল কর্মী বাহিনী ব্যবহার করে সেসব ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানো হয়। ‘ শুধু তাই নয়, প্রতিপক্ষের বিভিন্ন ওয়েবসাইটও হ্যাক করা হয়। আর এসবই করা হয় চুক্তির ভিত্তিতে, অর্থের বিনিময়ে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক সংগঠন দ্য ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস’র এক অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, সাংবাদিকদের একটি দল গোপনে ওই অনুসন্ধান চালিয়েছে। ৩০টিরও বেশি গণমাধ্যমের সাংবাদিক এ তদন্তে যুক্ত ছিলেন। এই অনুসন্ধানের মধ্যদিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। প্রতিবেদেন মতে, বহুদিন ধরে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে আসছে ইসরাইলের একটি প্রতিষ্ঠান। যারা নিজেদেরকে ‘টিম জর্জ’ বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। টিম জর্জ একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মতো। মূলত কোনো একটি দেশের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী একটি পক্ষের কন্ট্র্যাক্ট বা চুক্তির ভিত্তিতে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের কাজটি করে থাকে তারা। টিম জর্জ নিজেই জানিয়েছে, হ্যাকিং, নাশকতা আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব রটিয়ে তারা এ পর্যন্ত ৩৩টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে। আরও পড়ুন: ইরানের বিষয়ে ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবেদন মতে, টিম জর্জের নেতৃত্বে রয়েছেন তাল হানান নামে এক ব্যক্তি। ৫০ বছর বয়সী হানান ইসরাইলি সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের সাবেক চর। তার ছদ্মনাম ‘জর্জ’। তার নেতৃত্বে যে দলটি চলে তারই ‘টিম জর্জ’। দুই দশকের বেশি সময় ধরে চলছে তার এই কার্যক্রম। গার্ডিয়ান জানিয়েছে, হানান ও তার দলের এসব কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও নথিপত্র এখন তাদের হাতে রয়েছে। সংবাদমাধ্যমটির পক্ষ থেকে এসব ব্যাপারে হানানের কাছে জানতে হলে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি। শুধু বলেছেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করছি না।’ তবে হানান ও দল মিথ্যা তথ্য ও গুজবকে কীভাবে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছে অনুসন্ধানের মাধ্যমে তা আগেই তুলে এনেছেন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস’র সাংবাদিকরা। তদন্তে দেখা গেছে, অতি গোপনে ও সূক্ষ্মভাবে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রধানত রাষ্ট্র কিংবা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কাজ করে। তবে এর বাইরে করপোরেট কোম্পানির পক্ষেও কাজ করে। প্রতিবেদন মতে, অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা ছদ্মবেশে হানানের কাছে যান। ছদ্মবেশি ওই সাংবাদিকদের হানান জানান, তারা কোনো দেশের গোয়েন্দা সংস্থা, রাজনৈতিক দল ও বেসরকারি কোম্পানি, যারা জনমত নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তাদের পক্ষে কাজ করে থাকে। হানান বলেন, তার প্রতিষ্ঠান আফ্রিকা, দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র ও এমনকি ইউরোপেও কাজ করছে। আরও পড়ুন: বিচারব্যবস্থা সংস্কার: গভীর সংকটে ইসরাইল হানানের প্রতিষ্ঠান ‘টিম জর্জ’–এর অন্যতম প্রধান একটি পরিষেবা হলো ‘অত্যাধুনিক সফটওয়্যার প্যাকেজ’। যার নাম অ্যাডভান্সড ইমপ্যাক্ট মিডিয়া সল্যুশন (এআইএমএস)। এটি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন—টুইটার, লিংকডইন, ফেসবুক, টেলিগ্রাম, জিমেইল, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে হাজার হাজার ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি ও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো দিয়ে ক্রেডিট কার্ড, বিটকয়েন ওয়ালেট ও এয়ার বিএনবি অ্যাকাউন্টসহ আমাজন অ্যাকাউন্টও খোলা যায়। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন মতে, ছদ্মবেশী সাংবাদিকরা ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে হানানের কথা রেকর্ড করেছেন। হানান ও তার দলের অন্য সদস্যরা জিমেইল ও টেলিগ্রাম হ্যাকিংয়ের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। প্রতিপক্ষের প্রচারণাকে বাধাগ্রস্ত করতে তারা হ্যাকিং, গুজব রটানোর মতো কাজ করে থাকেন বলে জানান। এমনকি তারা জানান, এক রাজনীতিবিদের বাসায় তার স্ত্রীর জন্য আমাজন থেকে কেনা ‘সেক্স টয়’ (যৌনকাজে ব্যবহৃত কৃত্রিম যন্ত্র) পাঠানো হয়। স্বামীর প্রতি সন্দেহ তৈরি করতেই এই অপকৌশল নেয়া হয়। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, টিম জর্জের এ ধরনের কৌশলের ব্যবহার প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলোকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে। টিম জর্জের কার্যক্রম এখন প্রকাশ পাওয়ায় এটি ইসরাইলের জন্য অস্বস্তির কারণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: ইসরাইলের তথ্য-প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার হামলা সাম্প্রতিক সময়ে সাইবার-অস্ত্র তথা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আড়িপাতার যন্ত্র রফতানি ইস্যুতে বিতর্কের মুখে রয়েছে দেশটি। তবে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় টিম জর্জের এমন কার্যক্রম নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। দ্য গার্ডিয়ান জানায়, ছদ্মবেশী সাংবাদিকরা হানানের কাছে রাজনৈতিক অস্থিরতায় পর্যুদস্ত আফ্রিকার একটি দেশের হয়ে পরামর্শ নিতে যান। তারা হানানকে বলেন, আফ্রিকার সেই দেশটির নির্বাচন কীভাবে বিলম্বিত করা যায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। জবাবে হানান বলেন, ‘আমরা এখন আফ্রিকার একটি নির্বাচন নিয়ে কাজ করছি। আমাদের একটি দল গ্রিসে ও একটি দল আমিরাতে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৩৩টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কাজ করে ২৭টিতেই সফলতা এসেছে।’ এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে দুটি ‘বড় প্রকল্পে’ কাজ করার কথা জানান। তবে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তাঁদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই বলে দাবি করেন হানান। টিম জর্জের সঙ্গে সাংবাদিকদের সেই বৈঠকে পাওয়া সব তথ্য অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করা যায়নি বলে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও পড়ুন: পেগাসাসের পর এবার রেইন, আইফোন হ্যাক করছে ৫ বছর ধরে এসব কাজের জন্য লেনদেন কীভাবে হয় সেটাও জানিয়েছেন হানান। ছদ্মবেশী সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, তারা বিভিন্ন মুদ্রায় ‘পেমেন্ট‘ গ্রহণ করে থাকেন। নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে ৬০ লাখ ইউরো থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ ইউরো পর্যন্ত নেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৮ কোটি ১৭ লাখ ২৯ হাজার ৮৮৭ থেকে ১৭০ কোটি ৪৩ লাখ ২৪ হাজার ৭১৮ টাকার সমান। দ্য গার্ডিয়ান ও তদন্তকারী সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, মেক্সিকো, সেনেগাল, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ প্রায় ২০টি দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য প্রচার ও প্রচারণার পেছনে টিম জর্জের ‘এআইএমএস’ সফটওয়্যারটির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply