Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » প্রকাশ হলো শিনজো আবের শেষ বই, কী আছে এতে




জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের স্মৃতিকথা ‘আবে শিনজো: কায়কোরোকু’ প্রকাশিত হয়েছে। এরইমধ্যে বইটি ‘বেস্টসেলার’র তালিকায় চলে এসেছে। দ্বিতীয় মুদ্রণের সব বইও শেষ। এখন চলছে তৃতীয় মুদ্রণের কাজ। জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী ও জনপ্রিয় এ প্রধানমন্ত্রী তার জীবদ্দশায় বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। তার মধ্যে ‘টুওয়ার্ডস আ বিউটিফুল কাউন্ট্রি: মাই ভিশন ফর জাপান’, রিভার্সিং গিয়ার্সধ প্রোজেক্ট সিন্ডিকেটস ইয়ার ইন রিভিউ ২০১৩’ ও নিহোন নো কেতসুই’ উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি নিজের স্মৃতিকথা ‘আবে শিনজো” কায়কোরোকু’ লেখা শুরু করেন জাপানি এ রাজনীতিক। এর মধ্যেই গত বছরের জুলাই মাসে হঠাৎ মারা যান তিনি। এদিন এক বন্দুক হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনি। নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় তাকে গুলি করা হয়। মৃত্যুর প্রায় ৮ মাস পর গত বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বইটি প্রকাশিত হয়। বইটির প্রকাশক চুয়োকোরন-শিনসা বলছে, বইটির বিক্রি ইতোমধ্যে তাদের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, নিজের স্মৃতিকথায় কী লিখেছেন শিনজো আবে। নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদন মতে, জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সদ্য প্রকাশিত স্মৃতিকথা কূটনৈতিক উপাখ্যানের ভান্ডার। যুক্তরাষ্ট্র ও ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রঙিন গাড়িতে চড়া থেকে শুরু করে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক গেম পর্যন্ত কূটনীতির জগতকে এক অনন্য অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখেছেন তিনি। বইটি মূলত শিনজো আবের ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সংকলন। ইয়োমিউরি শিম্বুন সংবাদপত্রের সাংবাদিক গোরো হাশিমোতো ও হিরোশি ওয়ামা ওই সাক্ষাৎকারগুলো নিয়েছিলেন। বইটির প্রধান বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পর্কে আবের পর্যবেক্ষণ। ট্রাম্পকে তিনি ‘প্রথাবিরোধী’ হিসেবে দেখেছেন, যদিও সেটা নেতিবাচকভাবে নয়। ২০১৯ সালের মে মাসে ট্রাম্প টোকিও সফর করেন। সে সময় টোকিওর রাস্তায় ট্রাম্পের বুলেটপ্রুফ গাড়ি ‘বিস্ট’-এ চড়েছিলেন আবে। দুজন জাপানের ন্যাশনাল সুমো অ্যারেনায় জাতীয় খেলা সুমো দেখেছিলেন এবং সময় বাঁচাতে একই গাড়িতে করে নৈশভোজে গিয়েছিলেন। এসব উঠে এসেছে তার স্মৃতিকথায়। এ ছাড়া উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে ট্রাম্পের মনোভাবও কী ছিল সেটাও বলেছেন। স্মৃতিকথা অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়া ও এর নেতা কিম জং উনের ব্যাপারে ট্রাম্প ‘দুর্বল’ ছিলেন এবং এর জন্য তাকে সমালোচনাও করেছেন আবে। চীনের সঙ্গে কূটনীতি চীনের সঙ্গে কূটনীতি সম্পর্কে স্মৃতিকথায় আবে বলেছেন, এটা সবসময়ই দাবা খেলার ম্যাচের মতো ছিল। তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ‘প্রখর বাস্তববাদী নেতা’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমার দ্বিতীয় মেয়াদের সাত বছর নয় মাসে আমি ৮১টি বিদেশ সফর করেছি। এসব সফরে বিদেশি নেতাদের সঙ্গে প্রতিটি বৈঠকে আমি চীনের কথা তুলে ধরেছি। দেশটির সামরিক শক্তিবৃদ্ধি বা সমুদ্রে আগ্রাসী সম্প্রসারণের দিকে নজর রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছি। কিছু নেতা আমার সঙ্গে একমত হতেন আবার কেউ কেউ হতেন না।’ ভারত প্রসঙ্গ স্মৃতকথায় ভারত সম্পর্কে বলেছেন আবে। তিনি বলেছেন, ভারতীয় জনগণের হৃদয়ে জাপানের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। এ ব্যাপারে ১৯৫৭ সালের ঘটনা উল্লেখ করেছেন আবে। ওই বছর আবের দাদা জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নোবুসুকে কিশি ভারত সফর করেন ও প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে বৈঠক করেন। আবের স্মৃতিকথা অনুযায়ী, ‘আমি পরে আমার দাদার সঙ্গে থাকা দোভাষীর কাছ থেকে শুনেছিলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাইরে লোকজন জড়ো হয়েছিল। তখন নেহেরু কিশিকে বলেছিলেন, ‘আমি বাইরের লোকদের সামনে একটি বক্তৃতা দিতে যাচ্ছি। সেই সুযোগে আমি আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই।’ বাইরে এসে নেহেরু জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘কিশি সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী যারা রুশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হয়েছিল। সেই জাপান আমাদেরকে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস যুগিয়েছিল।’ তার এ বক্তব্য শুনে জনতা উল্লাসে ফেটে পড়ে। কোয়াড গঠন প্রসঙ্গ স্মৃতিকথায় আবে আলোচিত সামরিক জোট ‘কোয়াড’ গঠনের শুরুর কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ২০০৬-০৭ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের প্রথম মেয়াদে ভারত সফর করেন তিনি। সে সময় তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া- এই চার দেশ নিয়ে একটি সামরিক জোট গঠনের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ভারতীয় নেতা বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আবের বেশ সখ্যতা ছিল। কূটনৈতিক সম্পর্কের বাইরেও দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চেও একে অপরের প্রশংসা করতে দেখা গেছে। আবের মৃত্যুর পর বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি টুইটে শোক প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেছিলেন, ‘প্রিয় বন্ধুকে হারালাম’। স্মৃতিকথাতেও মোদির সঙ্গে সুসম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরেছেন আবে। স্মৃতিকথায় বলা হয়েছে, ২০০৬-০৭ সালে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে কোয়াড সম্পর্কে কথা বলি। কিন্তু চীনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেই মনমোহন সিং ইতস্তত করেছিলেন। সেই তুলনায় পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখেন। এমনকি তিনি আমাকে বলেছিলেন, জাপান যদি প্রতিনিধিত্ব করে, তবে ভারত কোয়াডে যোগ দেবে।’






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply