Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » কেন সংখ্যালঘুদের সম্পদ জব্দ করছে স্লোভাকিয়া




স্লোভাকিয়ায় জার্মান ও হাঙ্গেরীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের অস্থাবর সম্পত্তি তথা জমি কেড়ে নিচ্ছে সরকার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন এক আইন ব্যবহার করে গত কয়েক বছর ধরেই এটা চলে আসছে। তবে গত বছর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সম্পদ কেড়ে নেয়ার এ বিষয়টি আরও গতি পেয়েছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। ব্রাসেলসে স্লোভাকিয়া দূতাবাসের সামনে বিতর্কিত আইনটির বিরুদ্ধে হাঙ্গেরীয়দের বিক্ষোভ। ছবি: আল-জাজিরা ব্রাসেলসে স্লোভাকিয়া দূতাবাসের সামনে বিতর্কিত আইনটির বিরুদ্ধে হাঙ্গেরীয়দের বিক্ষোভ। ছবি: আল-জাজিরা গত মাসেই ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। অনেক আলোচনা ও দফায় দফায় বৈঠকের পরও কোনো কাজ হয়নি। পুরোদমে চলছে সংঘাত। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ শুরু করার ‘শাস্তি’ হিসেবে রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলোতে বাজেয়াপ্ত রুশ সম্পদগুলো কী করা হবে, তা নিয়ে জোর বিতর্ক চলছে। এসব বিতর্কের ফলে নিষেধাজ্ঞার কবলেপড়া রুশ সম্পদ ও অর্থকড়ি জব্দ করা এবং সেসব সম্পদ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের পুনর্গঠনে দেশটির সরকারের হাতে তুলে দেয়ার ব্যাপারে ইউরোপের সরকারগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে। যদিও রাশিয়ার সামরিক অভিযানে ইউক্রেনীয় জনগণের সীমাহীন দুর্ভোগ বিবেচনায় নীতিগত কারণে এমন দাবি জোরদার হচ্ছে। তবে এমন নীতির বাস্তবায়নে দীর্ঘমেয়াদে ভয়ানক পরিণতি ঘটাতে পারে; যদি না তা সতর্কতা ও সঠিক বিচার-বিবেচনা সহকারে করা হয়। আরও পড়ুন: রুশ আক্রমণের আশঙ্কা /মলদোভায় ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা ইউরোপীয় বিমান সংস্থার এক্ষেত্রে স্লোভাকিয়ায় চলমান সম্পদ জব্দ করার ঘটনাগুলো হতে পারে ‘সতর্ক সংকেত’। ইউরোপের এ দেশটিতে ২০১৭ সাল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রণীত একটি আইন ব্যবহার করে জাতিগত হাঙ্গেরীয় ও জার্মান সংখ্যালঘু নাগরিকদের অস্থাবর সম্পদ জব্দ করা হচ্ছে। তাও আবার কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ ছাড়াই। এর ফলে রাতারাতি সহায়-সম্বলহীন হয়ে পড়ছে দেশটিতে বসবাসকারী জাতিগত হাঙ্গেরীয় ও জার্মানরা। স্লোভাকিয়া সরকার ও প্রশাসনের এ কর্মকাণ্ডকে সমর্থন ও অনুমোদন দিয়ে আসছে দেশটির আদালতগুলোও। আইনের যুক্তি হলো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তাদের (হাঙ্গেরীয় ও জার্মান) ঘটানো অপরাধের ‘সমন্বিত দায়’ বিবেচনায় এ দুই জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পদ কেড়ে নেয়া হচ্ছে। আরও পড়ুন: তিব্বতের স্বায়ত্তশাসনের সমর্থন দিচ্ছেন ৩০ ইউরোপীয় সিনেটর কিন্তু এটা করতে গিয়ে যারা ‘অপরাধী’ নয়, এমন নাগরিকরাও অন্যায় ও অবিচারের শিকার হচ্ছেন। বিতর্কিত ওই আইন বলে স্লোভাকিয়ার জাতিগত হাঙ্গেরীয় ও জার্মানদের মধ্যে যারা বিশ্বযুদ্ধের সময় জন্মই নেননি, শুধুমাত্র বংশগত কারণে সেসব নাগরিককেও সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সরকার ও প্রশাসনের এমন বিবেচনা অর্থাৎ বাপ-দাদার কারণে সন্তানকে শাস্তি দেয়ার বিষয়টিকে ‘সমন্বিত শাস্তি’র স্পষ্ট উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এমন ঘটনার স্পষ্ট ও সাম্প্রতিকতম দৃষ্টান্ত হচ্ছে রাজধানী ব্রাটিস্লাভার কাছেই একটি জেলার মধ্যদিয়ে একটি মহাসড়ক নির্মাণের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণ ও শত শত মানুষ উদ্বাস্তু হওয়ার ঘটনা। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য মতে, সাত দশকের পুরনো ডিক্রি ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে জমি দখলের ফলে প্রায় ২৫০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরও পড়ুন: আফ্রিকাকে চীনের হাতে ছেড়ে দেয়া ইউরোপের বড় ভুল কিন্তু প্রকৃত ভুক্তভোগীর সংখ্যা আসলে কত তার সঠিক হিসাব এখন পর্যন্ত কেউ জানে না। কারণ জমি অধিগ্রহণ করার বিষয়টি এখনও অবহিত নয় এর প্রকৃত মালিকরা। তবে জমি অধিগ্রহণের পক্ষে একটা খোঁড়া যুক্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে স্লোভাক কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, আইনটি যখন পাস হয়, তখনই জমি বাজেয়াপ্তকরণের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। এখন তারা শুধু প্রশাসনিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply