Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » বিচারব্যবস্থা সংস্কারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন নেতানিয়াহু




ইসরায়েলে বিক্ষোভের ছবি রয়টার্সের বিচারব্যবস্থায় সংস্কারের উদ্যোগে নিয়েছিলেন ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন নেতানিয়াহু সরকার। বারবার বিক্ষোভ হলেও অনেকটা ধার্য হয়ে গিয়েছিল–সংস্কার হবে। তবে, বিতর্কিত আইনটি পাস করা নিয়ে আগুনে ঘি ঢেলে দেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। এর জেরে মন্ত্রিত্ব পদও হারান ইসরায়েলের এই আইন প্রণেতা। এরপরেই বিক্ষোভ মোড় নেয় নতুন রূপে। অবশেষে বিতর্কিত বিচারব্যবস্থা সংস্কার থেকে পিছু হটল নেতানিয়াহু। আজ সোমবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। প্রতিবেদনে লন্ডনভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানায়, বিচারব্যবস্থা সংস্কারের পরিকল্পনা আগামী মাস পর্যন্ত স্থগিত করেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আগামী মাসে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটে এই বিলটি উত্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। ইসরায়েলের সবচেয়ে খারাপ জাতীয় সংকট ও জোট সরকার ভেঙে যেতে পারে বা সহিংসতা বাড়তে পারে এমন গুঞ্জনের মধ্যেই এই খবর সামনে এলো। বিচারব্যবস্থা সংস্কারের বিলটি ডানপন্থী জোট সরকারের ইহুদিপন্থীরা উত্থাপন করেছিল। এটি আগামী পার্লামেন্টে উঠলেও বিলটির ভাগ্যে কী থাকবে তা নিয়ে কোনো কিছু স্পষ্ট করা যাচ্ছে না। এমনকি, বিলটি নিয়ে জোট সরকারের অংশীদাররা কী রকম প্রতিক্রিয়া দেখাবে বা তারা সন্তুষ্ট হবে কিনা ও পরিস্থিতি শান্ত হয় কিনা তাও স্পষ্ট নয়। আজকের বিক্ষোভ নিয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান বলেছেন, ‘এবারের বিক্ষোভ অন্যগুলোর তুলনায় আলাদা। এমনটা আগে কখনও দেখা যায়নি।’ এদিকে, আগামী পার্লামেন্ট পর্যন্ত বিলটি স্থগিত করায় সায় দিয়েছেন ইসরায়েলের কট্টরপন্থী নিরাপত্তা মন্ত্রী ও জোট সরকারের অন্যতম অংশীদার বেন-গভির। সর্বশেষ বার ক্ষমতায় আসার পরই ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে বিচারব্যবস্থা সংশোধনের একটি পরিকল্পনা উন্মোচন করেন ইসরায়েলি বিচারমন্ত্রী। এতে করে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমে যাবে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। নেতানিয়াহুর মতে, বিচারব্যবস্থায় সংস্কার হলে আদালত ও সরকারের ভারসম্য ঠিক হবে। এরপর থেকেই দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। আইনটি পাস হলে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত অর্থাৎ, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত বাতিলের ক্ষমতা চলে যাবে নেসেটে। এতে করে আদালতের যেকোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারবে পার্লামেন্ট। বর্তমানে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগে একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন। তবে, বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমিয়ে তিনি এ অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে চান বলে অভিযোগ বিরোধীদের। নেতানিয়াহু বিরোধীরা বলছেন, আইনটি পাস হলে বিচারব্যবস্থায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করবে পার্লামেন্ট। গণতন্ত্র শেষ হয়ে যাবে। বিলটির বিরুদ্ধে আজও ইসরায়েলে বিক্ষোভ হয়েছে। তবে, এতে চেটেছে আইনটির সমর্থকরা, যার মধ্যে ডানপন্থী ফুটবল সমর্থকরাও রয়েছে। তারা পাল্টা বিক্ষোভের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এদিকে, বিলটির বিরোধী বিক্ষোভে সমর্থন দিয়েছে দেশটির শ্রমিক ইউনিয়ন। ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিয়ন থেকে ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। এমনকি পোর্ট, ব্যাংক, হাসপাতাল ও মেডিকেল সার্ভিসের শ্রমিকরাও কর্মবিরতি করেছেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply