দক্ষিণ কোরিয়ায় পর্যটক আকৃষ্ট করতে নানামুখী উদ্যোগ সরকারের

পর্যটন শিল্প বিকাশে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। চলতি বছর থেকে বিভিন্নভাবে দেশি-বিদেশ পর্যটক টানার চেষ্টা করছে দেশটি। প্রতি বছর এ খাত থেকে প্রচুর আয় করে থাকে কোরীয় সরকার। সিউলের একটি শপিংমলের সামনে কয়েকজন চীনা পর্যটক। ছবি: রয়টার্স পর্যটন হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম আয়ের খাত। এটিকে বলা হয় অদৃশ্য অর্থনৈতিক শক্তি। বিদেশি পর্যটক যে দেশে যত বেশি, সে দেশের পর্যটন থেকে আয় ততই বেশি। অনেক উন্নতশীল দেশের অন্যতম আয়ের খাত হচ্ছে পর্যটন। এর গুরুত্ব বিবেচনায় সম্প্রতি নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। ভিসা ছাড়া কেবলমাত্র ইলেকট্রনিক ট্রাভেল পারমিট সিস্টেমের মধ্যেমে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণ করতে পারবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, হংকং ও তাইওয়ানসহ বিশ্বের ২২টি দেশ। কোরীয় সরকার আরও বলেছে, ৩৪টি দেশের ভ্রমণকারীদের জন্য ট্রানজিট ভিসা চালু করবে যেখানে ভ্রমণকারী টানা ১ মাস কোরিয়াতে থাকার অনুমতি পাবে। রাজধানী সিউলে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে এক অর্থনৈতিক সভায় সভাপতিত্ব করার সময় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল পর্যটকদের উৎসাহিত করতে এবং পর্যটন নগরীকে চাঙ্গা করতে বুধবার ( ২৯ মার্চ) এ ঘোষণা দেন। আরও পড়ুন: হাজার হাজার পর্যটকে মুখর চীন অর্থমন্ত্রী চু কিয়ং-হো বলেন, ‘ভ্রমণের ওপর আমরা প্রণোদনা প্রসারিত করবো। পর্যটন খাতের উন্নয়ন ও পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ সুবিধা বাড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশব্যাপী ১৩০টিরও বেশি আঞ্চলিক উৎসবের আসর বসবে। স্থানীয় উৎসবগুলোর সাথে সম্পর্কিত কুপন প্রদান করা হবে এবং সরকারী প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে প্রবেশ এবং সুযোগ-সুবিধাও বাড়ানো হবে। এছাড়া ভ্রমণ-ভিত্তিক পরিবেশ তৈরি করতে এপ্রিল ও জুলাই মাসে সরকারী কর্মকর্তাদের জন্য বার্ষিক ছুটিও বাড়াবে দক্ষিণ কোরিয়া কর্তৃপক্ষ। কে-পপ, কেনাকাটা ও সাংস্কৃতিক ইভেন্টগুলোও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বলেন, ‘কোরিয়ার বিভিন্ন সংস্কৃতি ও পর্যটকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করা আমাদের লক্ষ্য।’ চলতি বছরে ১ কোটির ও বেশি পর্যটকে আকৃষ্ট করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। যা গত বছরের মাত্র ৩০ লাখ পর্যটকের মধ্যে সিমাবন্ধ চিলো। চীন ও ফ্রান্সের মতো বিদেশী ভাষা পরিষেবাগুলো কে-ইটিএ সিস্টেমে যুক্ত করা হবে এবং বৈধতার মেয়াদ বর্তমান দুই বছর থেকে তিন বছর পর্যন্ত বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে কতৃপক্ষ। আরও পড়ুন: কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে বিদেশি পর্যটকের জন্য অটোগেট সিস্টেম চালু জেজু দ্বীপের মধ্যদিয়ে ট্রানজিট করলে চীন থেকে আসা পর্যটকগুলো অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর অবস্থিত বা সিউল মেট্রোপলিটন এলাকায় পাঁচ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবে। ইতিমধ্যে সরকার চীন, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সংখ্যা সক্রিয়ভাবে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার বর্তমান ৬৩টি ফ্লাইট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে চীন থেকে প্রতি সপ্তাহে ৯৫৪ ফ্লাইট বাড়াবে এবং জাপানের জন্য বর্তমান ৮৬৩টি ফ্লাইট থেকে প্রতি সপ্তাহে ১০০৪টি পর্যন্ত ফ্লাইট বাড়বে। মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশজুড়ে বড় বড় বেশ কয়েকটি কে-পপ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে এপ্রিলের জন্য নির্ধারিত সিউল ফেস্টা ২০২৩ ও মে মাসে বন্দর শহর বুসানে একটি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।