জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা

দীর্ঘদিনের বৈরিতা ভুলে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। অতীতের বিরোধ ভুলে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) টোকিওতে বৈঠক করেছেন দুই দেশের শীর্ষ নেতা। এটিকে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কে একটি নতুন মাইলফলক বলে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়ল (বামে) ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। ছবি: সংগৃহীত ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার টোকিও সফরে যান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়ল। গত এক যুগের মধ্যে সিউলের কোনো নেতার এটিই প্রথম জাপান সফর। পরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। দুই নেতা বৈঠকে কয়েকটি বিষয়ে একমত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, এখন থেকে দুই নেতা নিয়মিত পরস্পরের দেশে সফরে যাবেন এবং বাণিজ্য নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের নিষ্পত্তি করবেন। আরও পড়ুন: এবার দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া এ ছাড়া, দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর থেকে ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে রাজি হয়েছে জাপান। টোকিওর বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় করা অভিযোগ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে সিউল। বৈঠকে আঞ্চলিক হুমকি মোকাবিলায় নিজেদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে অতীতের বরফ শীতল সম্পর্ক ভেঙে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন দুই প্রতিবেশী দেশ। আরও পড়ুন: জাপানের জোরপূর্বক শ্রমের ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দেবে দক্ষিণ কোরিয়া দুই নেতার এ বৈঠকের আগে এক সপ্তাহে চারটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে এ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ায় উত্তর কোরিয়া। সেই উত্তেজনার আবহেই জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার নেতার এ বৈঠক আনুষ্ঠিত হলো। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে জাপানের বৈরিতাপূর্ণ সম্পর্কের মূলে রয়েছে যুদ্ধকালীন ইতিহাস। বিশেষ করে ১৯১০-১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরীয়দের জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োজিত করা এবং নারীদের জাপানের সেনাবাহিনীর পতিতালয়ে কাজ বাধ্য করার ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিরোধ ছিল গুরুত্বপূর্ণ।