মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর ৩২টি গণহত্যা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী
মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে দুই বছরের বেশি সময় হয়ে গেছে। এ সময়ের মধ্যে জান্তা বাহিনী দেশটিতে অন্তত ৩২টি গণহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির বিদ্রোহীদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যের সরকার বা ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি)। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মূ নদীতে ভেসে আসা মরদেহ উদ্ধার করছেন স্থানীয় বিদ্রোহীরা। ছবি: সংগৃহীত
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দেশটির নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে। এর পর দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেতারা মিলে গঠন করেন জাতীয় ঐক্যের সরকার বা ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এনইউজির মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী উ অং মায়ো মিন বলেছেন, ‘আমাদের সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত বলছে, ক্ষমতা গ্রহণের পর জান্তা বাহিনী অন্তত ৩২টি গণহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে।’ তিনি জানিয়েছেন, জান্তা বাহিনী সর্বশেষ গণহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে সাগাইন অঞ্চলে। যা চলতি মাসের শুরুর দিকেই সংঘটিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে এক সপ্তাহে জান্তা বাহিনীর ১০৬ সদস্য নিহত
মন্ত্রী বলেছেন, ‘গত ১ মার্চ জান্তার লাইট ইনফ্যান্ট্রি বাহিনীর ৯৯ জন সৈন্য সাগাইন টাউনশিপের শ্যু লি অঞ্চলের তাতাই গ্রামে অভিযান চালিয়েছিল। তারা প্রথমদিকে বিদ্রোহী পিপল ডিফেন্স পার্টির একজনকে হত্যা করে এবং ১৬ জন গ্রামবাসীকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করার জন্য জিম্মি করে নিয়ে যায়। জান্তা সেনারা পুরুষদের হত্যার পাশাপাশি নারী-শিশুকেও হত্যা করেছে।’ এ সময় একাধিক ধর্ষণের প্রমাণও পেয়েছে এনইউজি সরকার।
মন্ত্রী ব্যাখ্যা করে বলেন, অন্তত ৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে এমন হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা বলে বিবেচনা করা হয়েছে।
উ অং মায়ো মিন বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক কার্যালয় ইউএনওএইচএ জান্তা শাসনামলে ২৪টি গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে। আমাদের কাছে গণহত্যার সংখ্যাটি আরও বেশি। আরও কিছু গণহত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।’
Tag: English News Featured others world
No comments: