মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর হামলায় নিহত ২৮
মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলীয় শান রাজ্যের একটি বৌদ্ধ মঠে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ওপর হামলা চালিয়ে ৩০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে জান্তা সেনাবাহিনী। শনিবার (১২ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।
মিয়ানমারের শান রাজ্যে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে জান্তা বাহিনী। ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা সংস্থা ক্যারেনি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ) জানিয়েছে, শনিবার সেনারা নান নিন নামক একটি গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে।
দুই বছর আগে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জান্তা সরকার ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারে সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে একের পর এক প্রাণঘাতী যুদ্ধ দেখা গেছে। এর মধ্যে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদো এবং শান রাজ্যে সবচেয়ে তীব্র কিছু লড়াই হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার ও ইউক্রেন সংকট নিয়ে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার গভীর উদ্বেগ
কেএনডিএফ জানিয়েছে, গোলাবর্ষণের পর শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে জান্তার বিমান বাহিনী ও গোলন্দাজ বাহিনী গ্রামটিতে প্রবেশ করে এবং মঠে লুকিয়ে থাকা গ্রামবাসীদের খুঁজে বের করে এনে হত্যা করে।
স্থানীয় সংবাদপত্র কান্তারাওয়াদ্দি টাইমসের প্রতিবেদনে দেয়া উদ্ধৃতিতে কেএনডিএফ এর মুখপাত্র বলেছেন, সামরিক বাহিনীর তাদের মঠের সামনে এনে লাইন ধরে দাঁড়াতে বাধ্য করে, তার পর ভিক্ষুদেরসহ সবাইকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে।
কেএনডিএফ এর এক ভিডিওতে অন্তত ২১টি মৃতদেহ দেখা গেছে। লাশগুলো মঠের পাশে স্তূপ করে রাখা ছিল। নিহতদের কয়েকজনের পরনে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ব্যবহৃত কমলা রঙের পিরান দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে তিন দিনে ১৬ জান্তা সেনা নিহত
মিয়ানমারে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে সহিংস দমননীতি গ্রহণ করে জান্তা সরকার। এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন কয়েক হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী। সহিংসতার জেরে কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী একত্রিত হয়ে গঠন করে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)। এরপর থেকেই জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে তারা।
No comments: