Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » রাস্তায় ফোন নিয়ে কেউ হেঁটে যাচ্ছে দেখে শিউরে উঠি! মোবাইলের জনক এখন বিরক্ত সৃষ্টি নিয়ে




তিনি নিজে তৈরি করেছিলেন এই মোবাইল ফোন। আজ তিনি নিজেই নিজের সৃষ্টি নিয়ে বীতশ্রদ্ধ। হতাশ। লোকজন যে এই জাল থেকে বার হতেই পারবেন না, এমনটা ভাবেননি মার্টিন কুপার। মোবাইলের জনক। তাই এখন বেশ আক্ষেপ হয় তাঁর। যদিও তিনি মনে করেন, আবিষ্কার এখানেই থেমে থাকবে না। যোগাযোগের জন্য তৈরি হবে আরও উন্নত মানের যন্ত্র, যা হাতে ধরতে হবে না। ০২ ১৮ image of martin cooper সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজের হতাশা তুলে ধরেছেন মোবাইলের স্রষ্টা কুপার। তিনি বলেন, ‘‘লোকজন এ ভাবে সারা দিন ফোনের দিকে তাকিয়ে। এমন হবে ভাবিনি!’’ তাঁর নিজের সৃষ্টির প্রতি লোকজনের এতটা মোহ তাঁকে আনন্দ দেয় না। বরং ভাবায়। কষ্ট দেয়। Advertisement ০৩ ১৮ image of martin cooper এই কুপারই ১৯৭৩ সালে তৈরি করেছিলেন দুনিয়ার প্রথম মোবাইল। সেই পথ কিন্তু সহজ ছিল না। ইহুদি উদ্বাস্তু পরিবারে জন্ম হয়েছিল কুপারের। বাবা-মা ইউক্রেন থেকে আমেরিকায় এসেছিলেন। শিকাগোতে জন্ম হয়েছিল কুপারের।

ইলিনয় ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ১৯৫০ সাল নাগাদ স্নাতক পাশ করেন কুপার। কোরিয়ান যুদ্ধের সময় ডুবোজাহাজে অফিসার হিসাবে কাজ করেছিলেন। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে হয়েছিল সেই যুদ্ধ। দক্ষিণ কোরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিল আমেরিকা। Advertisement ০৫ ১৮ image of martin cooper ১৯৫৭ সালে স্নাতকোত্তর পাশ করেন কুপার। ইলিনয় ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে। ২০০৪ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ই সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি দেয় তাঁকে। স্নাতকোত্তর পড়ার আগেই প্রযুক্তি সংস্থায় যোগ দেন তিনি। ০৬ ১৮ image of martin cooper ওই সংস্থায় কাজ করার সময় শিকাগো পুলিশের জন্য বিশেষ যন্ত্র তৈরি করেন কুপার। পুলিশ রেডিও যন্ত্র। হাতে ধরা যন্ত্রের মাধ্যমেই পুলিশকর্মীরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতেন। এর ফলে দুষ্কৃতী ধরা অনেক সহজ হয় পুলিশের পক্ষে। সত্তরের দশকের শুরুতেই প্রযুক্তি সংস্থার যোগাযোগ সিস্টেম বিভাগের প্রধান হন তিনি। তার পরেই হাত দেন মোবাইল তৈরির কাজে। আরও পড়ুন ২১ টি ছবিphoto of Natwarlal তিন বার তাজমহল বিক্রি করেন! বার বার বোকা বানান পুলিশকে, হঠাৎই গায়েব হন ‘গরিবের রবিনহুড’ ২২ টি ছবিParineeti Chopra একাধিক পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্ক, বিচ্ছেদ! ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সব সময় মুখে কুলুপ পরিণীতির ১৮ টি ছবিphoto of Nusli Wadia বিশ্বের বৃহত্তম বিস্কুট কারখানার মালিক! ভারতীয় এই ব্যবসায়ী সম্পর্কে মহম্মদ আলি জিন্নার নাতি ০৭ ১৮ image of martin cooper সেই মোবাইলের জনক কুপার সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার ডেল মারেতে নিজের দফতরে বসে একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘মন ভেঙে যায়, যখন দেখি কেউ মোবাইল ফোন দেখতে দেখতে রাস্তা পার হচ্ছেন। কিছু মানুষ মারা না গেলে কারও বোধ আসবে না।’’ ০৮ ১৮ image of martin cooper কিছু মানুষ মারা গিয়েছেন। তবু বোধ এসেছে কি না, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। যদিও কুপার মনে করেন, এই মোহও কেটে যাবে। বাজারে আসবে আরও আধুনিক যোগাযোগের যন্ত্র। কী রকম হতে পারে সেই যন্ত্র, তার একটি আঁচ দিয়েছিলেন পুরনো এক সাক্ষাৎকারে। ০৯ ১৮ image of martin cooper কুপার মনে করেন, মোবাইল তখন আর আয়তাকার বাক্স থাকবে না। বরং আমাদের কানের চামড়ার নীচে বসানো থাকবে যোগাযোগের সেই যন্ত্র। হাতে আর ধরতে হবে না। ১০ ১৮ image of martin cooper কী ভাবে চার্জ দেওয়া হবে আধুনিক সেই মোবাইল? তা-ও বাতলেছিলেন কুপার। তাঁর মতে, আমাদের শরীর থেকে চার্জ সংগ্রহ করবে সে। তাঁর কথায়, ‘‘আপনার শরীরই হল চার্জার। আপনি যখন খাবার খান, আপনার শরীর এনার্জি তৈরি করে।’’ সেই এনার্জিই হবে মোবাইলের শক্তির উৎস। এমনটাই মনে করেন কুপার। ১১ ১৮ image of martin cooper তবে কুপার আশ্বাস দিয়েছেন, এই ধরনের মোবাইল যন্ত্রের চার্জের জন্য শরীরের খুব বেশি শক্তিক্ষয় হবে না। সামান্য এনার্জিই নিজের জন্য সংগ্রহ করে নেবে সেই আধুনিক মোবাইল। মোবাইল ছাড়াও ভবিষ্যতে শরীরেই বসানো থাকবে কিছু সেন্সর। ১২ ১৮ image of martin cooper ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রযুক্তি সংস্থা মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সংযোগ ঘটানোর চেষ্টা করছেন। তার মধ্যে রয়েছে ইলন মাস্কের সংস্থা নিউরালিঙ্ক। খুব শীঘ্রই হয়তো কুপারের ভাবনা নিয়েও গবেষণা শুরু হতে পারে। ১৩ ১৮ image of martin cooper যদিও কুপার মনে করেন সাম্প্রতিক কালে মোবাইলের আধুনিকীকরণের জন্য তেমন কোনও চেষ্টা হয়নি। তাঁর মতে, মানুষের মাথার আকৃতি গোলাকার। মোবাইল যন্ত্রটি মসৃণ তলবিশিষ্ট আয়তাকার। যখন কানে ধরা হয়, তখন বেশ অসুবিধায় পড়তে হয়। কুপারের প্রশ্ন, গ্রাহকদের সুবিধা নিয়ে কেন কোনও ভাবনাচিন্তা হচ্ছে না। ১৪ ১৮ image of martin cooper এক সময় গ্রাহকদের কথা ভেবেই মোবাইল তৈরি করেছিলেন কুপার। সময়টা ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল। সেই ফোন ছিল বেশ ভারী, অনেক তারে প্যাঁচানো এক বড়সড় জটিল বস্তু। সে সময়ে তিনি একটি মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থায় কাজ করতেন। লক্ষ লক্ষ ডলারের প্রকল্প হাতে নিয়েছিল ওই সংস্থা। ১৫ ১৮ image of martin cooper ওই সময় মোবাইল তৈরি নিয়ে বাজারে কিন্তু দারুণ প্রতিযোগিতাও ছিল। কারণ এই মোবাইল তৈরির ভাবনা মানুষের মাথায় এসেছিল অনেক আগে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পরই। ১৬ ১৮ image of car ১৯৬০-এর দশকে গাড়িতে ফোন রাখার ব্যবস্থা করে একটি সংস্থা। কিন্তু সেই আবিষ্কার খুব বেশি সফল হয়নি। গাড়িতে বিশালাকার ব্যাটারি রাখতে হত তার জন্য। বিষয়টা বেশ জটিল ছিল। ১৭ ১৮ image of martin cooper কুপারের মনে হয়েছিল, লোকজনের সঙ্গে সব সময় তাদের নিজস্ব ফোন থাকছে না। ১৯৭২ সালের শেষে কুপার ঠিক করেন, তিনি এমন একটি যন্ত্র তৈরি করবেন, যা সব সময় নিজের সঙ্গে রাখা যাবে। যে কোনও জায়গায় ব্যবহার করা যাবে। টানা তিন মাস গবেষণা পর, ১৯৭৩ সালের মার্চ মাসের শেষে সফল হন কুপাররা। কুপারের তৈরি করা প্রথম মোবাইল ফোনটির ওজন ছিল ১ কিলোগ্রামেরও বেশি। সর্বোচ্চ ২৫ মিনিট কথা বলা যেত। ১৮ ১৮ representational image of mobile সেই ২৫ মিনিট সময় হাতে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থার দফতরে ফোন করেছিলেন কুপার। বলেছিলেন, ‘‘আমি মার্টিন কুপার বলছি। আমি একটা হাতেধরা সেলফোনে কথা বলছি। একটা সত্যিকারে সেলফোন, ব্যক্তিগত, এক জায়গা থেকে অন্যত্র বয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, হাতে ধরা যায়।’’ এখন সেই ফোন নিয়েই আক্ষেপের সুর প্রবীণের গলায়। ভাবতেও পারেননি, সেই সাধের যন্ত্র এতটা ক্ষতি করবে মানুষের।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply