Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ‘জাদু’ কি শেষ?




বিচার বিভাগের সংস্কার আনার পরিকল্পনাকে কেন্দ্র করে ইসরাইলে তিন মাসের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ করছে দেশটির জনগণ। তীব্র বিক্ষোভের মুখে সম্প্রতি সংস্কারের পরিকল্পনা কয়েক সপ্তাহের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে এ উদ্যোগেও কাটছে না সংকট। চলমান এ বিক্ষোভে প্রতিনিয়তই বাড়ছে ক্ষোভের আগুন। ইসরাইলের বিচারব্যবস্থার আমূল সংস্কারের সরকারি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারবিরোধী যে বিক্ষোভ হচ্ছে, ইসরাইলের ইতিহাসে রাস্তায় রাস্তায় জনতার এত বড় মিছিল সমাবেশ আর কখনো দেখা যায়নি। ইসরাইলের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এক প্রকার হুমকির মুখেই পড়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সংকটের শুরু যেভাবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিচারের কারণে চার বছর আগে রাজনৈতিক সংকট শুরু হয় ইসরাইলে। মূলত ২০১৯ সালের মে মাসে দুর্নীতি সংক্রান্ত তিনটি অভিযোগ আনা হয় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে। প্রথম অভিযোগে বলা হয়, নেতানিয়াহু তার ধনী সহযোগীদের কাছ থেকে কয়েক লাখ ডলার সমমূল্যের উপহার গ্রহণ করেছেন। দ্বিতীয় মামলার অভিযোগ, ইসরাইলের একটি প্রধান পত্রিকা তার পক্ষে ইতিবাচক সংবাদ প্রচার করে। এর বিনিময়ে তিনি এমন আইন সমর্থন করেন, যা ওই পত্রিকার প্রধান প্রতিযোগীকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আর তৃতীয় মামলাটি কেস-৪০০০ নামে পরিচিত। এতে অভিযোগ করা হয়, নেতানিয়াহু ইসরাইলের টেলিকম কোম্পানি বেজেকের পক্ষে কোটি কোটি ডলার সমমূল্যের একটি আইন সমর্থন করেন। এর বিনিময়ে কোম্পানিটির অনলাইন সংবাদ ওয়েবসাইটে তার পক্ষে ইতিবাচক সংবাদ প্রচার করা হয়। আরও পড়ুন: নেতানিয়াহুকে বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান বাইডেনের দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় ইসরাইলের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য নেতানিয়াহু উপযুক্ত কি না, তা নিয়ে বিভক্তি দেখা দেয়। ২০১৯ সাল থেকে পাঁচটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপরও রাজনীতিবিদরা স্থিতিশীল সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হয়। সবশেষ নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির নেতৃত্বে ডানপন্থি এবং ধর্মীয় দলগুলোর একটি জোট গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এরপর ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থি প্রশাসন গঠন করেছে তারা। অধিকৃত পশ্চিম তীরকে সম্পূর্ণ দখল, নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষাকারী আইনকে কুক্ষিগত করাসহ বেশ কিছু এজেন্ডা রয়েছে এ জোটের। সবশেষ বিচারব্যবস্থায় সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয় জোটটি। কী আছে সংস্কার প্রস্তাবে? বিচারব্যবস্থা সংস্কারের আইনটি আপাতত স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। এ আইনের মূল বিষয় হলো, সব ধরনের বিচারক নিয়োগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা পাবে ইসরাইলের বর্তমান উগ্র-ডানপন্থি ক্ষমতাসীন জোট। বলা হচ্ছে, এটি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নতুন সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ। এ আইন পাস হলে জোট সরকার ইসরাইলের আদালতের যেকোনো রায়কে অগ্রাহ্য করতে পারবে। শুধু তা-ই নয়, রাজনীতিবিদরাই বেশির ভাগ বিচারপতি নিয়োগের সুযোগ পাবেন। সংস্কারের উদ্যোগ স্থগিত নেতানিয়াহুর নতুন ‘কৌশল’ গত সোমবার (২৭ মার্চ) তীব্র আন্দোলেনের মুখে নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন যে, প্রস্তাবিত বিচার বিভাগ সংস্কারের উদ্যোগ আপাতত স্থগিত থাকবে। আরও পড়ুন: বিচার বিভাগ সংস্কারের পরিকল্পনা স্থগিত নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নেতানিয়াহুর বায়োগ্রাফার আনশেল ফেফার বলেছেন, জনগণের বিক্ষোভ কমানোর কৌশল হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হয়তো আপাতত এ সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন। তিনি বলেন, নেতানিয়াহু এখন এমন একটি অবস্থানে আছেন, যেখানে তিনি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। কেউ কেউ বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে সরকার এবং বিরোধীদের মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ নেয়ার কথা বলছেন। তবে সরকার কোনো অর্থপূর্ণ সমঝোতা খুঁজতে আগ্রহী নয় বলে মনে হচ্ছে। মন্ত্রিসভার কিছু চরম ডানপন্থি সদস্য এরই মধ্যে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, তারা কোনো ছাড় দিতে রাজি নন। বার-ইলান ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক মেনাচেম ক্লেইন বলেছেন, ‘নেতানিয়াহু তার নীতি ত্যাগ করবেন না।’ তিনি বলেন, বিচার বিভাগ সংস্কারের পরিকল্পনা স্থগিত করা নেতানিয়াহুর একটি নতুন কৌশল। আরও পড়ুন: আন্দোলন কঠোরভাবে দমনের নির্দেশ নেতানিয়াহুর ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন নেতানিয়াহু? ফেফারের মতে, ফের ক্ষমতায় আসার পর কিছু উচ্চাভিলাষী উদ্যোগ নিয়ে সম্ভবত অস্বাভাবিক ভুল করেছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘নেতানিয়াহু এখন পরাজয়ের অবস্থায় আছেন। তিনি এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে আছেন, যেখানে তার সরকার ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও তিনি দেশের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন।’ ফেফার বলেন, বিচারব্যবস্থা সংস্কার পরিকল্পনা সফল হোক বা না হোক, এই প্রস্তাবের কারণে গত কয়েক মাসের অস্থিরতা ইসরাইলি সমাজে গভীর মতাদর্শিক বিভাজন তৈরি করেছে। অধ্যাপক ক্লেইন বলেন, ‘আমরা এখন একটি গৃহযুদ্ধের মধ্যে আছি।’ তিনি বলেন, দুটি শিবির, দুটি সম্প্রদায়, দুটি সামাজিক কাঠামোর মধ্যে একটি গৃহযুদ্ধ চলছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply