Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » » গণ-অসন্তোষ উপেক্ষা করে ম্যাক্রোঁর পরিকল্পনা অনুমোদন আদালতের




ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বিতর্কিত পেনশন সংস্কার ও সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরের বয়স বৃদ্ধির পরিকল্পনা আদালতের অনুমোদন পেয়েছে। প্রবল গন-অসন্তোষ উপেক্ষা করে শনিবার (১৪ এপ্রিল) পরিকল্পনাটি অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। এতে দেশজুড়ে নতুন করে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সাংবিধানিক আদালতের রায়ের পর রাজধানী প্যারিসের রাস্তায় বিক্ষোভ। ছবি: আল জাজিরা আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, ৯ সদস্যবিশিষ্ট সাংবিধানিক আদালত অবসর গ্রহণের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪-তে উন্নীত করাসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধানের পক্ষে রায় দিয়েছে। আদালত বলেছে, ফরাসি আইন মেনেই পরিকল্পনাটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে বড় কোম্পানিগুলোতে কর্মরত ৫৫ বছরের উর্ধ্বের কর্মীর সংখ্যা প্রকাশ ও প্রবীন কর্মীদের জন্য বিশেষ আইন প্রণয়নসহ পেনশন সংস্কারে সরকারের ৬টি প্রস্তাবনা বাতিল করেছে আদালত। সাংবিধানিক আদালতের এ রায় মূলত ম্যাক্রোঁর জন্য অজনপ্রিয় সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের পথ করে দিয়েছে যার বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ ও ধর্মঘট চলছে। এই অনুমোদনের ফলে শিগগিরই ম্যাক্রোঁর পরিকল্পনা আইনে পরিণত করার পাশাপাশি তা কার্যকরও করা সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকেই নতুন আইন কার্যকর করা হবে। এদিকে রায় ঘোষণার পরই দেশটির কয়েকটি শহরে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এছাড়া আগামী পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে গণবিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা। আরও পড়ুন: পারমাণবিক বিদ্যুৎ যুগের ইতি টানল জার্মানি চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়স বাড়ানোর উদ্যোগ নেন ম্যাক্রোঁ। অবসরের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করার পরিকল্পনা হয়। ফ্রান্সে আগে সাড়ে ৪১ বছর কাজ করলেই অবসর নেয়া যেত। সংস্কার পরিকল্পনা কার্যকর হলে সেখানে অন্তত ৪৩ বছর কাজ করলে প্রাপ্য পেনশনের পুরোটা দেয়া হবে। আর এর চেয়ে কম কাজ করলে কিছু তহবিল কাটা হবে। এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসার পরই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ফ্রান্স। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অটল ছিলেন। তার প্রস্তাবটি নিয়ে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে বামপন্থিসহ মাক্রোঁবিরোধীরা এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে সেই পরিস্থিতি এড়াতে ম্যাক্রোঁ বিশেষ সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ভোটাভুটি ছাড়াই বিল পাস করার সিদ্ধান্ত নেন। পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসার সময়ই বিরোধী শিবির থেকে সরকারের পদত্যাগের দাবি ওঠে। সেই সঙ্গে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর বিক্ষোভও আরও জোরাল হতে থাকে। আরও পড়ুন: নাভালনিকে স্লো পয়জন দেয়া হচ্ছে, দাবি ঘনিষ্ঠ মিত্রের পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। রাজধানী প্যারিস ছাড়াও ফ্রান্সের অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ ছড়ায়। জনমত জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মানুষই ম্যাক্রোঁর এই সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে এবং সরকার পার্লামেন্ট ভোটকে পাশ কাটিয়ে বিল পাসের যে সিদ্ধান্ত নেয় সেটিরও বিপক্ষে বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু এই গণ-অসন্তোষের মুখেও ফ্রান্সের সাংবিধাকি আদালত বলেছে, সরকার যে পরিকল্পনা করেছে সেটি সংবিধানসম্মত। ফরাসি আইনের ভিত্তিতেই আদালত অবসরের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদন করেছে। একইসঙ্গে পেনশন সংস্কার প্রশ্নে বিরোধীরা গণভোট আয়োজনের যে প্রস্তাব দিয়েছিল তাও প্রত্যাখ্যান করেছে আদালত।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply