Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » ‘যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী’




‘যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী’ মার্কিন প্রশাসন, রাজনীতিবিদ এবং সামরিক শিল্পখাতকে একহাত নিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত কমেডিয়ান, যুদ্ধবিরোধী অধিকারকর্মী জিমি ডোরে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজের সাংবাদিক টাকার কার্লসনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জিমি ডোরে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী এবং চীন বা রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু নয় বরং দেশটির সমরাস্ত্র শিল্পই বড় শত্রু। জিমি ডোরে। ছবি: এপি

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ উসকে দিচ্ছে উল্লেখ করে জিমি ডোরে বলেন, ‘আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্র সবাইকে উসকে দিচ্ছে এবং পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে সবাইকে ভয় দেখাচ্ছে।’ চীনের চারপাশে যুক্তরাষ্ট্রের ৪০০ সামরিক ঘাঁটি রয়েছে উল্লেখ করে জিমি ডোরে বলেন, ‘কোরীয় যুদ্ধের সময় থেকে চীনের চারপাশে যুক্তরাষ্ট্রের ৪০০ সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। আপনার কি মনে হয়, চীন যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণের জন্য প্রস্তুত? আমি আপনাদের বলতে চাই, তারা প্রস্তুত নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ৪০০ থেকে ৯০০ সামরিক ঘাঁটি কেন দরকার? আমরাই যুদ্ধ উসকে দিচ্ছি, যেমনটা উসকে দিয়েছি ইউক্রেনে। এখন উসকে দিচ্ছি চীনকে।’ আরও পড়ুন: যেকোনো সময় চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভয়াবহভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত উল্লেখ করে যুদ্ধবিরোধী এ অধিকারকর্মী বলেন, ‘তারা অনেক বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত। সাধারণ মার্কিনীদের কোনো ধারণাই নেই যে, তাদের সরকার কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত। তারা মনে করে, আমাদের সরকার আর দশটা সরকারের মতোই দুর্নীতিগ্রস্ত।…কিন্তু তা নয়। পুরো বিষয়টিই দুর্নীতিগ্রস্ত। আমাদের দেশের ৮০০ বিলিয়ন ডলার সামরিক বাজেট মানে ৮০০ বিলিয়ন ডলারের দুর্নীতি।’ যুদ্ধ এবং সামরিক বাজেট থেকে কারা লাভবান হয় এমন প্রশ্ন রেখে জিমি ডোরে বলেন, ‘আমি আপনাদের বলতে চাই যে, চীন বা রাশিয়া আপনাদের শত্রু নয়। আপনাদের শত্রু হলো দেশের সামরিক শিল্প কমপ্লেক্স যারা বছর বছর দেশ থেকে ট্রিলিয়ন ডলার লুঠ করে নিচ্ছে।’ জিমি ডোরে আরও বলেন, ‘আমি সবাইকে মনে করিয়ে দিত চাই, যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী। আজ থেকে ২০ বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছি। আর এখন আমরা প্রক্সি যুদ্ধে লড়ছি ইউক্রেনে, যেটা আমরাই উসকে দিয়েছি, ন্যাটো উসকে দিয়েছে। আমরা স্বীকারও করেছি যে, জার্মানির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আমরা এই যুদ্ধ উসকে দিয়েছি। এখন আবার আমরা চীনকে উসকে দিচ্ছি আর ঘরে বসে তারা (মার্কিন জেনারেলরা) যুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণী করছেন।’ আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘প্রতিশোধ’, ছাড় পাননি বাইডেনও মার্কিন এ অধিকারকর্মী আরও বলেন, ‘আমি আবারও বলতে চাই, চীন আমাদের কখনোই আক্রমণ করবে না। কারণ চীন আমাদের শত্রু নয়। বর্তমানে যা চলছে তা অর্থনৈতিক যুদ্ধ। ইউক্রেনে যে যুদ্ধ চলছে তা মূলত প্রাকৃতিক গ্যাসকে আরও বাণিজ্যিকীকরণ করার যুদ্ধ। পাশাপাশি এটিও নিশ্চিত করা যে, রাশিয়া এবং জার্মানি যেন কখনোই এক হতে না পারে। কারণ আমরা মার্কিনীরা ভয় পাই যে, রাশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জনবল জার্মানির মূলধন এবং প্রযুক্তির সঙ্গে একীভূত হয়ে যাবে। একারণেই তারা পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছে এবং ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এর সবটাই মূলত মতাদর্শিক প্রাধান্য, সাম্রাজ্যবাদ বজায় রাখা এবং অর্থনৈতিক স্বার্থের কারণেই করা হচ্ছে।’ জিমি ডোরে বলেন, ‘যদি আপনি কোনো দেশে মার্কিন মেরিন সেনা দেখতে পান, তাহলে বুঝতে হবে সেই দেশ থেকে তারা প্রাকৃতিক সম্পদ চুরি করছে। লোকজন চিৎকার করে পুতিনকে খারাপ বলছে ইউক্রেন আক্রমণ করার জন্য। অথচ যুক্তরাষ্ট্র এখনো সিরিয়ার এক তৃতীয়াংশ দখল করে রেখেছে। কোন তৃতীয়াংশ? যেখানে তেল রয়েছে। তো আপনাদের মনে হতে পারে আমি কিভাবে জানি যে, তারা কোথা থেকে তেল চুরি করছে? কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিজেই সেসব জায়গার কথা বলেছেন






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply