Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » হ্যাটট্রিক করে দিল্লির ডাবল হ্যাটট্রিক রুখল কলকাতা! দাদার দলের কাছে হার দাদার শহরের




হ্যাটট্রিক করে দিল্লির ডাবল হ্যাটট্রিক রুখল কলকাতা! দাদার দলের কাছে হার দাদার শহরের বৃহস্পতিবার দলে একাধিক পরিবর্তন করেছিল কলকাতা। কিন্তু ভাগ্য বদলাতে পারেনি। প্রথমে ব্যাট করে ১২৭ রান তুলেছিল কেকেআর। সেই রান ৪ উইকেটে তুলে নিল দিল্লি। টস হেরে শুরু করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ম্যাচটাও হারল তারা। টানা পাঁচটি ম্যাচে হারা দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে হেরে হারের হ্যাটট্রিক কলকাতার। প্রথমে ব্যাট করে ১২৭ রান তুলেছিল কেকেআর। সেই রান ৪ উইকেটে তুলে নিল দিল্লি।

বৃহস্পতিবার দলে একাধিক পরিবর্তন করেছিল কলকাতা। কিন্তু ভাগ্য বদলাতে পারেনি। দিনের পর দিন ব্যর্থ হওয়া রহমানুল্লা গুরবাজকে বসিয়ে খেলানো হয়েছিল লিটন দাসকে। যিনি ৪ বলে ৪ রান করেন। একটি চার মারেন এবং মুকেশ কুমারের বাউন্সার বুঝতে না পেরে ক্যাচ দিয়ে যান। খেলানো হয়েছিল জেসন রয়কেও। যিনি ৪৩ রান করলেও নেন ৩৯ বল। উল্টো দিক থেকে একের পর এক ব্যাটার আউট হওয়ায় হাত খুলতেই পারছিলেন না তিনি। এ বারের আইপিএলে প্রথম বার নেমে ৪৩ রান করলেও জেসনকে খুব স্বচ্ছন্দ দেখায়নি। তিন নম্বরে নামেন বেঙ্কটেশ আয়ার। গত ম্যাচে শতরান করা বেঙ্কটেশ দিল্লির বিরুদ্ধে কোনও রানই পাননি। অধিনায়ক নীতীশ রানা নিজের ঘরের মাঠে করেন মাত্র ৪ রান। মনদীপ সিংহ (১২), রিঙ্কু সিংহ (৬), সুনীল নারাইনরা (৪) এলেন এবং চলে গেলেন। জেসন একা চেষ্টা করে গেলেন রান করার কিন্তু কোনও ব্যাটারই সাহায্য করতে পারলেন না তাঁকে। কলকাতার রান ১০০ পার হবে কি না সেটা নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ৯৬ রানে ৯ উইকেট চলে গিয়েছিল কলকাতার। এমন একটা সময় ক্রিজে ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। হাতে ২৬টি বল। এমন অবস্থায় রাসেল নিজে স্ট্রাইক না নিয়ে বরুণ চক্রবর্তীকে এগিয়ে দিলেন বেশ কয়েক বার। উমেশ যাদবকেও খেলানোর চেষ্টা করেছিলেন তার আগে। কিন্তু উমেশ আউট হতে যে বরুণের সঙ্গেও একই কাজ করবেন তা ভাবা যায়নি। বরুণ কোনও রকমে সামলালেন ছ’টি বল। রাসেল নিজে স্ট্রাইক পেয়েও যে খুব কাজে লাগাতে পারছিলেন এমনটা নয়। ৩১ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকা রাসেল মুকেশ কুমারের শেষ ওভারে তিনটি ছক্কা মেরেছিলেন। সেই ১৮ রান না হলে তাঁর ৩০ রানের গণ্ডি পার হত না এবং দলেরও ১২৭ রান হত না। Advertisement READ MORE টানা পাঁচটি ম্যাচ হারা দিল্লির কাছে এই ম্যাচ ছিল মরণ-বাঁচন লড়াই। সেই ম্যাচে অভিজ্ঞ ইশান্ত শর্মাকে সুযোগ দিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা। আইপিএলে একাধিক বার দেখা গিয়েছে প্রাক্তন নাইটদের কেকেআরের বিরুদ্ধে ভাল খেলতে। এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই হল। নিজের চার ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে দু’উইকেট তুলে নিলেন ইশান্ত। অন্য এক প্রাক্তন নাইট কুলদীপ যাদব তিন ওভারে ১৫ রান দিয়ে নেন দু’উইকেট। তাঁদের দাপটে কলকাতার রানের চাকা যেমন আটকে যায়, তেমনই একের পর এক উইকেটও যায়। দু’টি করে উইকেট নেন অক্ষর পটেল এবং এনরিখ নোখিয়ে। একটি উইকেট নেন বাংলার পেসার মুকেশ কুমার। শেষ বলে রান আউট হন বরুণ। মাত্র ১২৭ রানের পুঁজি নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিল কলকাতার বোলাররা। যে দল আগের ম্যাচে ১৮৫ রান করেও হেরেছিল সেই দল যে এত কম রান নিয়ে লড়বে সেটা ভাবা কঠিন ছিল। দিল্লির পিচে বল কিছুটা থমকে আসছিল। সেই কারণে স্পিনাররা কিছুটা সুবিধা পাচ্ছিলেন। নীতীশ রানা নিজে সেই কারণে অফ স্পিন করতে শুরু করেন। নারাইন, বরুণরা তো ছিলেনই। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামা অনুকূলও দু’টি উইকেট তুলে নেন। কিন্তু দিল্লির উপর চাপ দেওয়ার মতো রানটাই ছিল না কেকেআরের হাতে। তাই মাত্র ১৩ রানে পৃথ্বীর উইকেট বা মিচেল মার্শ (২) এবং ফিল সল্টকে (৫) অল্প রানে ফিরিয়ে দিয়েও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি কেকেআর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply