চীন কবে তাইওয়ান আক্রমণ করতে পারে জানাল তাইপে

চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে সামরিক সংঘাত শুরু হতে পারে ২০২৭ সালে। স্বশাসিত দ্বীপ দেশ তাইওয়ান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ এ দাবি করেছেন। যুক্তরাজ্যের একটি রেডিও স্টেশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে উ এ মন্তব্য করেন। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। চীনের গণমুক্তি ফৌজ এবং যুদ্ধ সরঞ্জাম। ছবি: রয়টার্স বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) ব্রিটিশ রেডিও স্টেশন এনবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে উ বলেন, ‘আমরা চীনের সামরিক হুমকির বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব দিয়েই দেখছি।’ এ সময় তিনি চীন তাইওয়ান আক্রমণ করবে এমন ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি, ২০২৭ সালই সেই বছর যে বছরটি নিয়ে আমাদের আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।’ সাক্ষাৎকারে উ আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, যুক্তরাজ্যসহ সমমনা দেশগুলো চীনকে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের যুদ্ধ শুরু করা থেকে বিরত রাখতে সক্ষম হবে। আরও পড়ুন: তাইওয়ান ঘিরে চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্বের আদ্যোপান্ত উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে যে, যুক্তরাজ্য সরকার তাইওয়ানের কাছে সাবমেরিনের যন্ত্রাংশ এবং প্রযুক্তি পাঠানোর বিষয়টির অনুমোদন দিয়েছে। এদিকে গত ফেব্রুয়ারিতে উ-এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস জানিয়েছিলেন, চীন ২০২৭ সালের মধ্যেই তাইওয়ান আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবে। সিবিএস নিউজের ফেস দ্য নেশন অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে বার্নস বলেছিলেন, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেশটির পিপলস লিবারেশন আর্মি বা গণমুক্তি ফৌজ বা পিএলএ’কে নির্দেশ দিয়েছেন ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হতে।’ বার্নস সে সময় আরও বলেছিলেন, ‘তবে যাই হোক, তার মানে এই নয় যে, চীন কেবল ২০২৭ সালেই তাইওয়ান আক্রমণ করবে, অন্য সালে নয়।’ আরও পড়ুন: এক ও অখণ্ড চীন তাইওয়ান প্রণালির উভয় পাশের জনগণের অন্যতম চাওয়া: বেইজিং তার ঠিক আগের মাসে অর্থাৎ জানুয়ারিতে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসি যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার মোবিলিটি কমান্ডের প্রধান জেনারেল মাইক মিনিহানের একটি মেমোর বরাত দিয়ে জানিয়েছিল, আগামী দুই বছরের মধ্যে তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। অপরদিকে, গত শুক্রবারেই (২১ এপ্রিল) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিন গ্যাং সতর্ক করে বলেছেন, ‘যারা তাইওয়ান প্রশ্নে আগুন নিয়ে খেলছে তারা সেই আগুনেই পুড়ে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা চীনের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তাকে ছোট করে দেখবে চীন তাদেরকে কখনোই বন্ধু হিসেবে নেবে না।’